নিউজ ডেস্ক: সীমা হায়দারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি নাকি সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি সাজানোর চেষ্টা। ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি থেকে গ্রেফতার হলেন নাবালক ছেলে সহ এক পাকিস্তানি মহিলা। ধৃত মহিলার নাম শায়েস্তা হানিফ। তার সঙ্গে থাকা সন্তানের বয়স ১২। ওই মহিলা পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা। জানা গিয়েছে যে বুধবার নেপালের কাকরভিটা থেকে ভারতে প্রবেশের সময় পানিট্যাঙ্কিতে এসএসবি জওয়ানদের সন্দেহ হওয়ায় আটক করে দুজনকেই। এবং জিজ্ঞেসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। এসএসবি জওয়ানরা ধৃত দুজনকে খড়িবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন এবং পুলিশ দুজনকেই গ্রেফতার করে।
শায়েস্তার গ্রেফতারির পর এই ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ লেগেছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে বরাবর সরব হন বিজেপি নেতারা। ওই মহিলার ভারতে অবৈধভাবে ঢুকে পড়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই ধৃতদের কাছ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও পরিচয় পত্র উদ্ধার হয়েছে। তাদের কাছে ভারতে ঢোকার কোনও ভিসা ছিল না। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছে শায়েস্তা অসমের শিলচরের মেয়ে ছিলেন। করাচির বাসিন্দা মহম্মদ হানিফের সঙ্গে তার আলাপ হয়। এর পর তিনি নেপাল হয়ে পাকিস্তান চলে যান। কিন্তু হানিফ বিয়ের কিছুদিন পর কাজের জন্য সৌদি আরবের জেড্ডায় চলে যায়। এরপর পরিবারিক সমস্যা জন্য ভারতে ফিরতে চেয়েছিলেন। তবে পাকিস্তান থেকে নেপালে বৈধ ভাবে প্রবেশ করলেও ভারতে প্রবেশের কোন বৈধ ভিসা ছিলনা। অপরদিকে ধৃত মহিলা কতটা সত্য বলছে তা কিন্তু ভাবাচ্ছে গোয়েন্দা ও পুলিশকে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের মধ্য মহিলাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে ও মহিলার ছেলেকে দার্জিলিং জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। আদালতে তোলা হলে ওই মহিলার পুলিশি হেফাজতে হয়।