নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় যখন বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়েছিল তখন ঘণ্টায় তার গতিবেগ ছিল ৮৫ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে শুক্রবার বরিশাল-খুলনা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত উপকূলজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছ ও দেয়াল চাপা পড়ে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উপড়ে পড়েছে একাধিক গাছ। তার জেরে বেশ কিছু এলাকায় সাময়িকভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এমনকী, ফসল ও শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। তার জেরে বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি।
যদিও খুব বেশিক্ষণ তাণ্ডব চালায়নি মিধিলি। উপকূলে আছড়ে পড়ার পরই শক্তি হারাতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড়টি। এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সেটি। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে সেটি ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মাঝে অবস্থান করছে।
বাংলায় সেভাবে এই ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব না পড়লেও, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও অসমে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে এর প্রভাবে। শনিবার দিনভর এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। মিজোরামে প্রশাসনের তরফে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। বৃষ্টিতে সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ত্রিপুরার একাধিক জায়গায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার বৃষ্টির হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে। শনিবারও বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। তবে রবিবার থেকে ধীরে ধীরে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে।