নিউজ ডেস্ক: ফের জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠল বাংলায়। রাজ্যের বুকে এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের কুল্টিকরিতে ভুল বুঝিয়ে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
জানা গিয়েছে, দাসপুর ব্লকের কুল্টিকরিগ্রামের নারায়ণ দাস বাড়িই নাকি এখন হয়ে উঠেছে ধর্ম পরিবর্তনের আঁতুড়ঘর। এই ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে থেকেই চলছে এই ধরনের কাজ। এই খবর কানে আসতেই রুখে দাঁড়িয়েছে গ্রামবাসী ও অন্তঃরাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদ রাষ্ট্রীয় বজরং দল।
যে ছবি উঠে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছ ওই গ্রামে। টাকার বিনিময়ে হিন্দু থেকে খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে। শুধু নিজেরাই ধর্মান্তরিত হয়েছেন তা নয়, তাঁরা অন্যদেরও ভুল বুঝিয়ে একই পথে টেনে আনার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ উঠছে। আর তারই বিরোধিতা করেছে অন্তঃরাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদ রাষ্ট্রীয় বজরং দল। বিরোধিতা করেছে গ্রামবাসীরাও।
রাজ্যের চারিদিকে বিক্ষিপ্তভাবে এই চক্র চলছে বলে মত অনেকের। কখনও ইসলাম, তো কখনও খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণের মতো কাজকর্ম চোখের আড়ালে নিঃশব্দে হয়ে যাচ্ছে। জোর করে ধর্মান্তরকরণের হিন্দুদের অস্তিত্ব কি আরও বিপন্ন হয়ে উঠছে, প্রশ্ন উঠছে। সেই সঙ্গে এও প্রশ্ন উঠছে, এই বিষয়ে কিছুই কি জানে না প্রশাসন? কাঠগড়ায় পুলিশের ভূমিকাও।
একাংশের মতে, যে রাজ্যে সুদীপ্ত সেনের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কে মুক্তিতে বাধার সম্মুখিন হতে হয়, সেখানে বর্তমান রাজ্যে সরকারের মানসিকতা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে যায়।