নিউজ ডেস্ক: অনলাইনে পেমেন্ট বিপ্লব এনেছে ভারতের নিজস্ব ইউপিআই। পকেটে ইন্টারনেট যুক্ত স্মার্ট ফন থাকলেই কেল্লা ফতে। চটজলদি ও নিরাপদ ইউপিআই আত্মসাৎ করেছে ফ্রান্স ও সিঙ্গাপুর। জাপানেও চালু হতে চলেছে ইউপিআই। প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। এরই মাঝে অস্ট্রেলিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী ও জার্মানির তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর মন মজেছে ইউপিআইয়ে।
দিল্লিতে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী রিচার্ড মার্লস। সোমবার দিল্লির রাস্তায় স্ট্রীট ফুডের মজা নিতে সপারিষদ বের হয়েছিলেন রিচার্ড সাহেব। সোডা শিকাঞ্জি ও রাম লাড্ডু চেখে দেখেন তারা। শেষে টাকা দেওয়ার পালা। ক্যাশ টাকা দিতেই পারতেন তিনি। তবে তার ইচ্ছে হয় ইউপিআই পেমেন্টের। পকেট থেকে মোবাইল বের করে স্ক্যান করতেই হয়ে যায় পেমেন্ট। ভারতীয়দের কাছে এটা দৈনন্দিন ব্যাপার। ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট সেপ্টেম্বর মাসে এদেশে এসেছিলেন। তিনি ইউপিআইকে ‘ফ্যাসিনেটিং’ বিশ্লেষণে ভুষিত করেছিলেন। ইউপিআই এর প্রশংসা করেছেন জার্মানির তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ভোকার ইউসিং। উন্নত দেশগুলিতে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট বেশি প্রাধান্য পায়। কিন্তু ভারতের ইউপিআই পেমেন্টের চটজলদি ও নিরাপদ ব্যবস্থা নজর কাড়ে অজি প্রধানমন্ত্রীর। বাংলাদেশ ও অন্যন্য দেশে নিজস্ব অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে লেনদেন করতে গেলে সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। কিন্তু ইউপিআই নিরাপদ এবং ফ্রি সার্ভিস। যা নজর কেড়েছে বিশ্বের।
প্রসঙ্গত জি ২০ সামিটের সময় ভারত ইউপিআই ব্যবস্থা আগত দেশগুলির কাছে তুলে ধরেছিল। অনেক দেশ এই ব্যবস্থা নিজেদের দেশে কার্যকরি করতে চেয়েছে। ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুর ইউপিআই পে নাউ নামে পেমেন্ট সিস্টেম শুরু করেছে দুই দেশের আভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের জন্য। ফ্রান্সে ইতিমধ্যে ইউপিআই চালু হয়ে গিয়েছে। সেই তালিকায় আছে জাপানের মত আধুনিক দেশের নাম। ভারত এখন ডিজিটাল ভারত হওয়ার পথে। নোটবন্দীর পর শেষ কয়েক বছরে ইউপিআই দৈনন্দিন লেনদেনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। যা নজর কেড়েছে অজি উপ প্রধানমন্ত্রী সহ একাধিক আধুনিক রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারনকারী ব্যক্তিদের।