নিউজ ডেস্ক: এবারের বিগিবিএস সামিটে দেখা যায়নি ভারতের প্রথম সারির শিল্পপতি গৌতম
আদানিকে। তিনি নাকি তাজপুর বন্দর নির্মাণে আগ্রহী নন এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাজপুরে বন্দর তৈরির জন্য ফের টেন্ডার ডাকার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের
মন্তব্যের পরেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি আদানির
সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির জেরেই তাজপুরে বন্দর তৈরি থেকে ছিটকে
গেলেন আদানি? তবে এই ঘটনায় অন্য ইঙ্গিত
দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতা নিজের মন্তব্যের সমর্থনে নিজের এক্স
হ্যান্ডেলে কয়েকটি সংবাদ উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন আদানি
পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানোর ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। সেই সাপ্লাইলাইন পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে যাওয়ার কথা।
মুর্শিদাবাদের উপর দিয়ে আম আর লিচুর বাগানের মধ্য দিতে হাই এক্সটেনশন লাইন
বের করার সময় গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাত হয়। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ সেই সমস্যা সয়াধানে আদানি ও মমতার মধ্যে একটা ডিল
হয়। সেই মত আদানি বিজিবিএসে মমতার প্রশংসা করবেন আর তার বিনিময়ে বাংলাদেশে
প্রবেশের আগে ফরাক্কা, মুর্শিদাবাদ ও মালদার উপর দিয়ে লাইন
নিয়ে যেতে দেবেন মমতা। তাজপুর বন্দর নির্মাণের প্রাথমিক চুক্তি ছিল সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ হাইটেনশন লাইন নিয়ে
যাওয়ার জন্য প্রাচীন আমগাছের বাগান, লিচু বাগানের
ক্ষতি হয়েছে। ১০০ বছরে এই প্রথম সেখানে ফলন হল না। বিজেপির
অভিযোগ এখন যেহেতু আদানির কাজ হাসিল হয়ে
গেছে তাই তিনি আর তাজপুর
বন্দরে আগ্রহী নন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন শিল্পপতিদের বন্দরে বিনিযোগ করার জন্য
আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।