নিউজ ডেস্ক: এবার ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে জয়নগরের
দলুয়াখাঁকি গ্রামে পৌঁছাল কামদুনির দুই মহিলা মৌসুমী ও টুম্পা। পুলিশ ঘেরাটোপে
অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ওই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গ্রামে পৌঁছায় কামদুনির
মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল। অসহায় মানুষদের হাতে ত্রান সামগ্রী তুলে দেন তাঁরা।
গ্রামে ঢোকার আগে পুলিশি বাধার সম্মুখীনও হন। বেশ কিছুক্ষণ বারুইপুর পুলিশ জেলার
পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পর শর্ত সাপেক্ষে গ্রামের ত্রাণ নিয়ে ঢোকেন
মৌসুমী ও টুম্পা। গ্রামের মানুষদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁরা। এরপর
মৌসুমী কয়লা বলেন, পুরো গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অসহায়
মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা যৎসামান্য ত্রাণ নিয়ে এসেছি। আমরা সাধারণ
মানুষ আমরা কোন রাজনীতি করতে গ্রামে আসি নি। তবে আমরা আবারও আসবো। অসহায় মানুষদের
পাশে দাঁড়াবো। এটা কোন ছোট ঘটনা নয় এইটা অনেক বড় ঘটনা। একটা খুনকে কেন্দ্র করে
শুধুমাত্র সন্দেহর বসে, গোটা গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। শীতের
সময় গ্রামের মহিলা শিশুর কি অসহায় অবস্থায় রয়েছে। তবে আমরা আবারো আসবো। গ্রামে
আমরা রাজনীতি করতে আসবো না। টুম্পা কয়াল দাবি করেন সিবিআই তদন্তের।
প্রসঙ্গত, জয়নগরের
তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে
বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলুয়াখাঁকি গ্রাম । এরপর দলুয়াখাকি গ্রামের একাধিক
বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আতঙ্কের পর জনশূন্য
হয়ে পড়ে সম্পূর্ণ গ্রাম। গ্রামের মহিলারা আশ্রয় নেন দক্ষিণ বারাসাতের সিপিএমের
দলীয় কার্যালয়। সিপিএমের দলীয় কার্যালয় দুদিন থাকার পর পুলিশের সাহায্যে
গ্রামের ফেরে গ্রামের মহিলারা। এই ঘটনার পর অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে বিভিন্ন
রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা ওই গ্রামে পৌঁছান। এরপর বুধবার বিকালে, ঘরপোড়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গ্রামে পৌঁছান
কামদুনির প্রতিবাদী দুই মহিলা মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল।