নিউজ ডেস্ক: ভরা পর্যটন মরশুমেও টয় ট্রেনে কমছে যাত্রী সংখ্যা! ঘুম উইন্টার ফেস্টিভ্যালের মধ্য দিয়ে
পর্যটক টানতে বর্ণাঢ্য আয়োজন রেলের। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই দার্জিলিং
ও ঘুমের মাঝে পর্যটকদের আগ্রহ বাড়াতে নাইট জয়রাইড পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের। রেলের দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে তরফে ২৫শে
নভেম্বর থেকে আগামী ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত এই উদযাপন চলবে।
জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব এই
ঘুম উইন্টার ফেস্টিভ্যালের শুভ উদ্বোধন করেন। উইন্টার ফেস্টিভ্যালকে কেন্দ্র করে
দার্জিলিং এর ঘুম স্টেশন আলোক মালা ও রংবেরঙের ফুলে সেজে উঠেছে। পাহাড়ের রঙ
বাহারি ফুলে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ঘুম মিউজিয়ামকেও। রেলকর্তারা জানান, “টয় ট্রেনে পর্যটকদের টানতেই এই আকর্ষণীয় উৎসব।
ভারতের সর্বোচ্চ রেলস্টেশন ঘুম পাহাড় প্রিয় পর্যটকদের ট্যুর ডেস্টিনেশনের তালিকায়
শীর্ষে থাকে। এই স্টেশন ঘিরে পর্যটকদের এক অন্য মাত্রার আকর্ষণ রয়েছে। তাই ঘুম
স্টেশনে উইন্টার ফেস্টিভাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে যেমন সাজিয়ে তোলা হয়েছে তেমনি
পাহাড়ি লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠান থেকে সেখানকার কৃষ্টি, হাতের
কাজে তৈরি হরেক রকমের সামগ্রিক এবং খাবারের ফুড কোর্টও রয়েছে”। জানা গেছে পর্যটন মরশুমে দার্জিলিঙে পর্যটকদের
উপচে ভিড় রয়েছে ঠিক কিন্তু টয় ট্রেনে এখনও যাত্রী সংখ্যা কম। পর্যটকদের টয়
ট্রেনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করতেই এই ঘুম উৎসবের আয়োজন। পাশাপাশি পর্যটকদের
আগ্রহ বাড়াতে রাতের পাহাড়ের নির্ঝুমতা ও
শৈল শহর দার্জিলিংয়ের নিয়ন আলোয় টয় ট্রেনের নাইট জয় রাইড চালুর পরিকল্পনা নেওয়া
হয়েছে।
ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এই নাইট
জয়রাইড চালু হতে পারে দার্জিলিং ও ঘুমের মাঝে। পাহাড়ি আঁকা বাঁকা পথ ধরে শহরের
শহরের আলো-আঁধারি থেকে নিরঝুমতাকে সঙ্গী করে রাত্রিকালীন কালীন খেলনা ট্রেনের এই
শহর পর্যটকদের কাছে রোমাঞ্চকর ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে বলেই মনে করছে রেল। ঘুম
স্টেশনে পাহাড়ের বিভিন্ন ব্যান্ড ও নাচ গানের অনুষ্ঠান হবে। সঙ্গে বিভিন্ন রকমের
পাহাড়ের বিশেষ সমস্ত সামগ্রি ও খাবারের স্টল থাকছে। পাহাড়ে বেড়াতে আসার
পর্যটকদের এই উৎসব বাড়তি আনন্দ দেবে। প্রথম দিনেই বিকেলে ব্যান্ডের অনুষ্ঠান শুরু
হতেই ঘুম ফেস্টিবাল কিরে পর্যটকদের ব্যাপক উৎসাহ নজরে আসে। জ্যাকেট মাফলার জড়িয়ে
পাহাড়ের কোলে নেপালি ভাষার গান বাজনায় মেতে উঠতে দেখা যায় পর্যটকদের।