আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপির মেগা জনসভার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে আমজনতাও। উপস্থিত থাকবেন অমিত শাহও। সভার কাজ সেরে সেদিনই ফিরে যাবেন তিনি। আর বিজেপির এই ‘কলকাতা চলো’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে। আর এসবের মাঝেই বোমা ফাটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রামপুরহাটে ধর্মতলা কর্মসূচির প্রচারে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস ভয়াবহ হবে বীরভূমের নেতাদের কাছে’।
রামপুরহাটে বীরভূমের একাধিক তৃণমূল নেতার নামে তোপ দেগে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তাঁদের অবস্থা কারাগারে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের থেকেও শোচনীয় হবে বলে দাবি শুভেন্দুর। তিনি রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, ২০২৪ সালে এই আসন থেকে বিজেপি ৫০ হাজার ভোটের লিড নেবে। তবে তাঁর ডিসেম্বর বার্তাই যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে।
একদিকে যখন শুভেন্দুর ডিসেম্বর বার্তা জল্পনা বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে সেখানেই বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের মন্তব্য সেই জল্পনার পালে হাওয়া দিয়েছে বলাই যায়। দিলীপ ঘোষ সরাসরি তোপ দেগেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি। খড়্গপুরে একটি সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, ‘দিল্লিতে ইডি-র অফিসে চা পানের ডাক পেয়েছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে আমাদের দিদি কেন ডাক পাবেন না? উনি কেন ছাড় পাবেন?’ তিনি এও বলেন, ‘নতুন বছরে কিছু জনকে জেলের ভাত খেতে হবে।’
দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্য থেকেই রাজ্য রাজনীতির পারদ ক্রমশই চড়ছে। একদিকে বিবিধ দুর্নীতির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবের আশঙ্কা, অন্যদিকে, তৃণমূলের অভ্যন্তরেই আদি-নব্য দ্বন্দ্বের হাওয়া। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই সব কিছু সামলে আদৌ কি নিজের জমিটুকু ধরে রাখতে পারবে মমতা সরকার? প্রশ্ন উঠছে।