কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রায় ৩ হাজার বঞ্চিতের কাছে অর্থসাহায্য পৌঁছে দিল তৃণমূল। বকেয়া টাকার দাবিতে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে আন্দোলন করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির যন্তর মন্তরের কর্মসূচি থেকে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে ১০০ দিনের কাজের যে বঞ্চিতেরা দিল্লি পৌঁছেছেন, তাঁদের টাকা যদি কেন্দ্রীয় সরকার দু’মাসের মধ্যে না মেটায়, তা হলে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে সেই টাকা দেবেন। অবশেষে সেই কথা রাখলেন তিনি। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই সেই কাজ শুরু করে দিয়েছে।
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ১০০ দিনের কাজের পারিশ্রমিক পাওয়ার ক্ষেত্রে যে ‘বঞ্চিত’ শ্রমিকেরা অভিষেকের কর্মসূচিতে দিল্লি গিয়েছিলেন, তাঁদের যাঁর যে পরিমাণ বকেয়া, তা পাঠানো শুরু করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গত শনিবার থেকে এই আর্থিক অনুদান পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি, প্রত্যেকের নাম করে একটি চিঠিও লিখছেন অভিষেক। যদিও তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, ডাকলে কর্মীরা কেউ আসছেন না। সেই কারণেই ঘুষ দিচ্ছেন অভিষেক।
১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগ মূলত দু’টি। রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। কাজ করানোর পরেও শ্রমিকদের মজুরি আটকে রেখেছে। বাংলার শাসক দলের দাবি, কেবল বকেয়া মজুরির পরিমাণই সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। যদিও বিজেপির বক্তব্য, রাজ্য সরকার আগের টাকার হিসাব দেয়নি। তা যত দিন না দেবে, তত দিন নতুন করে কোনও টাকা পাঠানো হবে না। দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, “টিএমসি পার্টিতে ডাকলে কোনও নেতা-কর্মী আসছে না। তাই ঘুষ দিয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে। পার্টির প্রোগ্রামে এলে বিরিয়ানির প্য়াকেট দেবে। ভাড়া দেবে। সেদিনের মজুরি দেবে। এখন দিল্লি গিয়েছে তাদের স্পেশাল পুরস্কার দেওয়া হবে। তো পুরস্কার দিয়ে, লোভ দেখিয়ে যদি পার্টি করতে হয়, টিএমসি পার্টি কতদিন টিকবে? তো ইনসেনটিভ দিয়ে এখন পার্টিতে লোক আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, যাঁরা দিল্লিতে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন তাঁরা টাকা পাচ্ছেন, কিন্তু, যাঁরা যেতে পারেননি তাঁরা কি টাকা পাবেন না?