টানা ১৭ দিনের অপেক্ষার অবসান এবার বাড়ির ছেলে বাড়ি ফিরবে।আর সেই খবর পেয়ে খুশির হওয়া হুগলি জেলার পুরশুরা এলাকার দুই পরিবারে।পাখিরা পরিবার ও প্রামাণিক পরিবার।১৭ দিন ধরে এই দুই পরিবারের ছেলে সৌভিক পাখিরা ও জয়দেব প্রামাণিক উত্তরকাশিতে কাজে গিয়ে সুড়ঙ্গে বিপর্যয়ের কারণে সুড়ঙ্গের ভিতরেই আটকে গিয়েছিল।সেই খবর শোনার পর থেকেই চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছিল এই দুই পরিবারের।কিন্তু আজ সকাল থেকেই এই দুই পরিবারের চোখ ছিল শুধু টিভিতে সংবাদ চ্যানেলে।কখন তাদের ছেলে বাইরে বেরোতে সক্ষম হবে সেই খবরটা তারা পাবে।আর এবার সেই প্রতীক্ষার অবসান হলো।সুড়ঙ্গ থেকে বের হতে সক্ষম আটকে থাকা যুবকরা।আর তার মধ্যে পাখিরা ও প্রামাণিক দুই পরিবারের দুই ছেলেও রয়েছে।আর সেই খবর পাওয়ার পরেই খুশিতে চোখে জল সৌভিক ও জয়দেবের পরিবারের সদস্যদের।
এদিন সৌভিক পাখিরার মা বলেন এত দিন কিছুই বুঝতে পারছিলাম না কি হবে।শুধুই ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে যাচ্ছিলাম।কিন্তু শুধু দিনের পর দিন কাটছিল আর উদ্ধারকাজে বাধা আসছিল।কিন্তু আজ সব শেষে জানতে পারলাম যে উদ্ধারকাজ শেষ।তাদের ছেলে অন্ধকার সুড়ঙ্গ থেকে বেরোতে সক্ষম হয়েছে।আর এটা জানতে পেরে যে আনন্দ হচ্ছে সেটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।এবার বাড়ির ছেলেটা এবার বাড়ি ফিরবে।তবে সব থেকে খুশি হবো যখন ছেলের গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে পারবো আর ছেলের কাছে মা ডাক শুনতে পারবো।তবে সবই ভগবানের কৃপা ভগবানের কাছে এত প্রার্থনার ফল এত দিনে পাওয়া গেলো।ছেলে এবার মায়ের কাছে ফিরবে।
অপরদিকে জয়দেব প্রামাণিকের বাবা বা মা কেউ কথা বলতে চায়নি।তাদের এক প্রতিবেশী বলেন ছেলের সুড়ঙ্গে আটকে যাওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকেই জয়দেবের মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।তারা কেউ কথা বলার মত অবস্থায় নেই।কিন্তু এবার ছেলে বাড়ি ফিরবে সেই খবর পেয়েছে এবার সব ঠিক হবে।আর এলাকার ছেলে এত বড় বিপদের মুখ থেকে এবার বাড়ি ফিরবে এটা খুবই খুশির খবর।
উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ার খবরে এখন আতঙ্ক উৎকণ্ঠা কাটিয়ে খুশির হাওয়া সমগ্র পুরশুরা জুড়ে।