নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
প্রকাশ্যে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য। প্রাক্তন
প্রধান তথা হুগলি জেলা তৃণমূলের সম্পাদক আচ্ছেলাল যাদব ও বর্তমান পঞ্চায়েতের
উপপ্রধানের লড়াই প্রকাশ্যে এল। অভিযোগ
কানাইপুর পঞ্চায়েত এলাকার আদর্শনগর
এলাকায় তিন বছর পর নতুন তৈরি হওয়া ঢালাই রাস্তা কেটে আবার নতুন করে পাইপলাইনের
কাজ শুরু করতে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়ালো এলাকায়।
অভিযোগ গত
পঞ্চায়েতের বোর্ডের সময় জলের পাইপ লাইনের কাজ কোনও কারণে বন্ধ ছিল। এরমধ্যে
ওই রাস্তায় এলাকার মানুষের দাবি মেনে
নতুন করে ঢালাই করা হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার ফের নতুন করে কেএমডিএর পানীয় জলের পাইপ লাইনের কাজ রাস্তা খুঁড়ে শুরু করতে গেলে এলাকার মানুষদের সঙ্গে
নিয়ে প্রাক্তন প্রধান আচ্ছেলাল যাদব সেই কাজ বন্ধ করিয়ে দেন। এরপরেই সেই
খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন বর্তমান পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভবেশ ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেন
এলাকায় মানুষের জন্য পরিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যাবস্থার জন্য কে এম ডি এ’এর তত্ত্বাবধানে গত একমাস আগে থেকে কাজ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেই সময়েও
প্রাক্তন প্রধান বিরোধিতা করে। আর আজ আবার কাজে এলে কর্মীদের
সরঞ্জাম ফেলে দিয়ে তাদের হুমকি দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। উপপ্রধান বলেন, “উন্নয়নের কাজ বন্ধ করা যাবে না”।
আর এই বিষয়ে
প্রাক্তন প্রধান আচ্ছেলাল যাদব বলেন তিনি এই কাজ বন্ধ করেন নি। তিনি নিজে বিগত
দিনে পঞ্চায়েত চালিয়ে এলাকার উন্নয়ন করেছেন। আর এই পাইপ লাইন বসানোর কাজ তার
সময়ের কাজ। তাই এখানে বাধা দেওয়ার প্রশ্ন নেই। বিজেপি চক্রান্ত করে এসব করছে। আর
এলাকার মানুষ আগে এই পাইপ লাইনের কাজের জন্য রাস্তা খারাপ থাকায় অনেক ভোগান্তিতে
পড়েছে তাই এলাকার মানুষ জানতে চেয়েছে এই রাস্তা খুঁড়ে কাজ হলে কতদিনের মধ্যে
রাস্তা ঠিক করা হবে । কাজ বন্ধ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এলাকার বিজেপির
পঞ্চায়েত সদস্য প্রমোদ সিং বলেন, “এলাকায় পানীয় জলের কাজ চলছে সেটা প্রাক্তন
প্রধান এসে ধমক দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে”।
স্থানীয় বাসিন্দা সুরজ নাথ চৌধুরী বলেন, “আমরা এলাকার বাসিন্দারা
দীর্ঘদিন বাদে এত ভাল রাস্তা পেয়েছি। আর এই কয়েকদিনের মধ্যেই এখন এই রাস্তা
খুঁড়তে চলে এসেছে। এতে মানুষ আবার সমস্যায় পড়বে। আগে এলাকার মানুষকে যারা কাজ
করছে তারা বলে দিক যে রাস্তা আবার কাজের পর নতুন করে কবে হবে সেটা জানাতে
হবে।এখানের রাস্তা খোঁড়া হলে আমাদের বাড়ির বাচ্ছারা স্কুলে যেতে পারবে না। বিকল্প
কোনও রাস্তা নেই”।