নিউজ ডেস্ক: প্রতিনিয়ত লোকাল ট্রেন দেরিতে যাতায়াত করছে। যার
জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের । সঠিক সময়ে লোকাল ট্রেন চালানোর
দাবিকে সামনে রেখে ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশনে ট্রেন অবরোধে সামিল হলেন রেল যাত্রীরা ।
বৃহস্পতিবার খড়গপুর
গামী ডাউন টাটানগর-খড়গপুর লোকাল ট্রেন ঝাড়গ্রাম রেলস্টেশনে সঠিক সময়ের অনেকটা
দেরিতে পৌঁছয় । ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশনে তিন নাম্বার প্লাটফর্মে পরিবর্তে ট্রেনটিকে
এক নাম্বার প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ ট্রেনটিকে দাঁড় করে
দেওয়ার ফলে যাত্রীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে । ট্রেন যাত্রীদের অভিযোগ, এক নাম্বার প্লাটফর্মে
ট্রেনটাকে দাঁড় করিয়ে একের পর এক এক্সপ্রেস ও মালগাড়িকে পাশ দেওয়া হচ্ছে।
বিষয়টি ঝাড়গ্রাম রেলস্টেশনের কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি বলে
অভিযোগ । তারপরেই সকাল আনুমানিক ৭ টা থেকে এক নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা
খড়গপুর গামী টাটানগর-খড়গপুর লোকাল ট্রেন কে অবরোধ করেন ট্রেনের যাত্রীরা। সেখান
থেকে তারা ঝাড়গ্রাম স্টেশনের পূর্ব দিকের মেন রেললাইনে পুরুষ মহিলা সবাই একত্রিত
হয়ে লাইনের উপর বসে পড়েন। সঠিক সময়ে ট্রেন চালানোর দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন
করতে থাকে । এই অবস্থায় ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশনে হাওড়া গামী টাটানগর-হাওড়া
স্টিল এক্সপ্রেস ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশনে পৌছালে স্টিল এক্সপ্রেস কেও অবরোধ করা হয়
।
রেলযাত্রী
তাপস কুমার দাস বলেন,”প্রতিনিয়ত খড়গপুর-টাটানগর শাখায় ট্রেন দেরিতে চালানো হচ্ছে, যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের । সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছতে পারছি
না । আজকের ট্রেন অনেক দেরিতে এসেছে তারপরে ট্রেনকে দীর্ঘক্ষণ এক নম্বর
প্লাটফর্মে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তাই
সঠিক সময়ে ট্রেন চালানোর দাবিতে আমরা একজোট হয়ে অবরোধ শুরু করেছি” । প্রায়
২ ঘন্টা ৪০ মিনিট অবরোধ থাকার পর ৯ টা ৪০ মিনিট নাগাদ রেল পুলিশের হস্তক্ষেপে রেল
অবরোধ তুলে দেওয়া হয় । ৫ জন অবরোধকারীকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ বলেও জানা
গিয়েছে । অবরোধ উঠে গেলে ডাউন খড়গপুর-টাটানগর লোকাল ট্রেন খড়গপুর এর উদ্দেশ্যে
রওনা দেয় । তার কিছুক্ষণ পরেই ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশন থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা
দেয় স্টিল এক্সপ্রেস । রেল সূত্রে জানা যায়, রেল অবরোধ
তুলে দেওয়ার পর ধীরে ধীরে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয় খড়গপুর-টাটানগর শাখায় ।