নিউজ ডেস্ক: ৮ ডিসেম্বরের বদলে প্রাথমিক টেট হবে ২৪ ডিসেম্বর। লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ আসরের পূর্ব নির্ধারিত দিনেই হবে চাকরির পরীক্ষা। আচমকা পরীক্ষার দিন নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর খোঁচা, “এই সরকার সম্পূর্ণ হিন্দুবিরোধী। ইচ্ছা করে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির দিন ফেলা হয়েছে পরীক্ষা।” যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ২৪ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে ব্রিগেডে তিন ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে গীতার প্রধান ৫টি অধ্যায় পাঠ করা হবে। অন্তত ১ লক্ষ সমবেত কণ্ঠে গীতাপাঠ হবে। ব্রিগেডে এই ধর্মীয় সমাবেশ গেরুয়া পন্থী সংগঠন অখিল ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ করলেও পিছনে পুরোপুরিভাবে রয়েছে বিজেপি ও সংঘ পরিবার।
আয়োজক সংগঠনের দাবি, মোট ৩৬০০ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই কর্মসূচিতে যোগ দেবে। ওইদিন ব্রিগেডে পুরীর শংকরাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী ও দ্বারকার শংকরাচার্য সদানন্দ সরস্বতীর উপস্থিত থাকার কথা। এদিকে ৮ ডিসেম্বর প্রাইমারি টেট হওয়ার কথা ছিল। কয়েক দিন আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ জানায়, পরীক্ষার দিন বদল করে ২৪ ডিসেম্বর করা হয়েছে। এতেই আপত্তি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, “পূর্বঘোষিত কর্মসূচির দিন ইচ্ছা করে পরীক্ষা রাখা হয়েছে। যাতে গীতা পড়তে লোক না যায়, গাড়ি ঘোড়া না পায়, সেই জন্য এটা করেছে।”
এ দিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘১০ তারিখে পশ্চিমবঙ্গের রানি সাহেবা (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সরকার স্পন্সর্ড বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন৷ তাই হেলিকপ্টার নিয়ে একবার তিনি আলিপুরদুয়ার ও বানারহাট ঘোরাঘুরি করবেন। তাই ১০ তারিখে টেট হবে না। টেট হবে ২৪ তারিখ। শঙ্কর ঘোষ সঠিক বলেছেন, এই সরকার সনাতনী সংস্কৃতির বিরোধী সরকার। তাই এক বছর আগে থেকে ঘোষিত ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ সন্ত সমাজ দ্বারা আয়োজিত, সেদিন তিনি টেট ফেলছেন। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত৷ এখানে উপস্থিত থাকবেন জগৎগুরু শংকরাচার্য। সেদিন টেট পরীক্ষা দিয়ে এই সরকার প্রমাণ করেছে, তারা তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে।’’ শুভেন্দুবাবুর খোঁচা, “এই সরকার সম্পূর্ণ হিন্দুবিরোধী। তোষণের রাজনীতি করে ভোটব্যাঙ্কের জন্য। সংখ্যালঘুদের উপকার চায় না। তাদের এগুলো দেখিয়ে দরদী সাজার চেষ্টা করে। ভোট পাওয়ার জন্য এসব করে। এটাই আসল কারণ। হিন্দু বিরোধী সরকার।” উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে এই গীতাপাঠের আসর নিয়ে তরজা চড়েছে। শাসক থেকে বিরোধী, এই নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে উভয়কে। কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, গীতাপাঠের আসরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনিও। কিন্তু কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি নিশ্চিত হতে চান আয়োজক কারা। আসলে এর পিছনে কি বিজেপি রয়েছে !