নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তির ওপর সবার অধিকার থাকতে
হবে। সমাজে ব্যবধান বাড়াতে নয়, সামাজিক ন্যায়বিচার ও
সাম্যের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত প্রযুক্তি। এই অভিমত পোষণ করলেন রাষ্ট্রপতি
দ্রৌপদী মুর্মু।
রাষ্ট্রপতির
কথায়, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম
সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজ করেছে, এটাই প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠ
উদাহরণ। সোমবার আইআইটি খড়গপুরের ৬৯-তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী
মুর্মু বলেছেন, আইআইটি খড়গপুরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিকে
উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীকে ভারতের শতাব্দী তৈরি করতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেছেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এমন এক বিশ্বের
উত্তরাধিকারী হবে, যেখানে ন্যায়বিচার, সাম্য ও সম্প্রীতি শুধুমাত্র আদর্শ নয় বরং এটি জীবনের একটি সাধারণ অংশ
হবে, যেখানে উচ্চ-নীচের মধ্যে কোনও পার্থক্য থাকবে না এবং
যেখানে প্রতিটি মানুষ ভয় ছাড়া বেঁচে থাকতে পারবে। এটাই আমাদের প্রয়াস হওয়া
উচিত।” রাষ্ট্রপতি জোর দিয়ে বলেছেন, “ভারত এখন
নতুন উচ্চতা অতিক্রম করছে, নতুন মান স্থাপন করছে এবং বিশ্বে
বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। আমরা বসুধৈব কুটুম্বকমের চেতনায় বিশ্বের
মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান খুঁজে পাওয়ার জন্য উন্মুখ। ভারতের এই অমৃত
কালে, প্রযুক্তির মাধ্যমে মন্থন করলেই আসবে স্বর্ণযুগ।”
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “কম্পিউটারাইজেশন, সৌর শক্তি,
জিনোমিক্স এবং বৃহৎ ভাষার মডেল হল কিছু পরীক্ষা, যা সামাজিক জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা রাখে। ১৫০ বছর আগে যে
রোগগুলি দুরারোগ্য বলে মনে হয়েছিল, সেগুলি এখন প্রায়
বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। এই বিশ্বকে আরও
উন্নত ও অন্তর্ভুক্ত করতে প্রযুক্তির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।” সকলকে
প্রবৃদ্ধিমুখী, ভবিষ্যৎবাদী ও কৌতূহলী মানসিকতা গড়ে তোলার
আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।