নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের পর এবার শীতকালীন অধিবেশন, আবারও
লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীর ছাড়াও সোমবার
লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে মোট ৩১ জন সাংসদকে। সংসদ ভবনে নিরাপত্তা লঙ্ঘন
ইস্যুতে এদিন শুরু থেকেই সংসদে সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। তুমুল চিৎকার শুরু হয় সংসদ
কক্ষে। প্রথমে দুপুর ২টো ৪৫ মিনিট, পরে তিনটে পর্যন্ত সভার
কাজ মুলতুবি করে দেন স্পিকার ওম বিড়লা। তার পরেও পরিস্থিতি তপ্ত হওয়ায় অধীর-সহ জন
সাংসদকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে শীতকালীন অধিবেশন।
তত দিন এই সাংসদেরা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না।
লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়ার বিষয়ে লোকসভায়
কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন,
“আমি-সহ সমস্ত নেতাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা কয়েকদিন ধরে
আমাদের সাসপেন্ড হওয়া সদস্যদের পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়ে আসছি, বলছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসুক। তিনি প্রতিদিন টিভিতে বিবৃতি দেন, তাহলে সংসদের নিরাপত্তার জন্য সরকার যা করছে তা নিয়ে সংসদেও তিনি একটু
কথা বলতে পারেন।”
কংগ্রেস সাংসদ আব্দুল খালিক বলেন, “নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার বিষয়ে
আমরা সরকারের কাছে উত্তর চেয়েছিলাম। আমরা শুধু জিজ্ঞাসা করেছিলাম কখন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাউসে আসবেন এবং এই বিষয়ে বিবৃতি দেবেন এবং এই প্রশ্নগুলি করার
জন্য আমাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা এবং রমেশ বিধুরির
বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এটি গণতন্ত্রের হত্যা। আমরা আমাদের আওয়াজ
তুলতে থাকব।”