নিউজ ডেস্ক: ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলেছে দেশ। কোন রাজনৈতিক ব্যানারে নয়। ধর্মের
ডাকে ব্রিগেড ভরাল জনতা। যেই মাটিতে সাড়ে তিন দশক নাস্তিক্যর প্রচার করা রাজনৈতিক দলের
রাজস্ত্ব সমাপ্ত হয়েছে মাত্র এক দশক আগে। বর্তমান শাসক দলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুর তোষণের
অভিযোগ। সেই মাটিতে ধর্মের ডাকে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ সত্যিই অভাবনীয়। সেই কাজই
করে দেখাল বাংলা।
অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ সহ কয়েকটি সংগঠন যে কামাল করে দেখাবে
তা শনিবারের আগে আঁচ করা যায় যায়নি। বিশাল মঞ্চ বিশাল আয়োজন দেখে বাঙালী সত্যিই ভাবতে
শুরু করেছিল লক্ষ কন্ঠেই হবে গীতাপাঠ। শনিবার রাত থেকে ব্রিগেড ময়দানে মানুষের ভিড়। রবিবার সকাল থেকে কাতারে
কাতারে মানুষ আসতে শুরু করেছে মঞ্চের আশেপাশে বেলা বাড়তেই ভিড় বাড়তে শুরু করে। সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলার রাজনীতিতে যে সমস্ত নেতাদের মঞ্চের উপরে দেখা যায় সেই নেতাদের এদিন দেখা
গেল মঞ্চের নিচে। শুভেন্দু অধিকারী,
সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল,
ফাল্গুনী পাত্র, শংকর ঘোষ, জগন্নাথ সরকার, খগেন মুর্মু,
মনোজ টিগগা,ইন্দ্রনীল খাঁ, ভারতী ঘোষ, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ শতাধিক নেতাদের
দেখা গেল ভলেন্টিয়ার রূপে। আর মঞ্চে বিরাজ করলেন শুধুমাত্র সাধু সন্তরা।
অন্যদিকে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের’
অনুষ্ঠানের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আয়জকদের
প্রেরণ করা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রশংসার সুরে লেখেন “কলকাতায় ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচির যে আয়োজন
করা হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এটাই আমাদের সংস্কৃতির
ঐতিহ্য। একইসঙ্গে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও আমাদের শক্তি। সেই মহাভারতের সময় থেকে
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, বর্তমান সময়েও গীতা আমাদের
অনুপ্রাণিত করে। গীতা জ্ঞানের ভান্ডার। জীবনের চালিকাশক্তি।”