নিউজ ডেস্ক: মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের নেই এক দশক হল। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যান এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী। দর্শকরা আজও সুচিত্রার নস্টালজিয়ায় মুগ্ধ। তাঁর অভিনয় যেন রুলবুক। চোখ কথা বলত অভিনেত্রীর। তিনি বয়সকালে চলে যান লোকচক্ষুর আড়ালে। শেষকালে একটি ছবি সামনে এসেছিল বটে। তবে সেই ছবি নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। দীর্ঘ অসুস্থতার পর আজকের দিনেই তিনি ইহজগৎ ছেড়ে চলে যান। তাঁর প্রয়াণ দিবসে রইল তাঁর অভিনয়জীবনের জানা-অজানা।
সুচিত্রা সেন অভিনীত প্রথম বাংলা সিনেমা ‘শেষ কোথায়’ আজও মুক্তি পায়নি। ১৯৫২ সালে নির্মিত হয়েছিল সিনেমাটি।
১৯৬৩ সালে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবির জন্য স্বীকৃতি পান সুচিত্রা সেন। আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়ী প্রথম বাঙালি অভিনেত্রী তিনি।
মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে সুচিত্রা সেনের জুটি চিরস্মরণীয়। তাঁরা প্রায় ৩০ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেন।
বলিউডে ‘দেবদাস’ উপন্যাস অবলম্বনে বেশ কয়েকটি ছবি হয়েছে। পার্বতী চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেছেন সুচিত্রা সেন। বলিউডে সুচিত্রা সেনের প্রথম ছবি ছিল ‘দেবদাস’।
সুচিত্রা সেন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।
শুটিং ডেট না থাকার কারণে সত্যজিৎ রায়ের ‘চৌধুরানী’ ছবিতে কাজ করতে চাননি সুচিত্রা সেন। সে কারণে সত্যজিৎ রায় ছবিটিই আর বানাননি।
সুচিত্রা সেনের ‘আন্ধি’ গুজরাটে মুক্তির পর ২০ সপ্তাহ নিষিদ্ধ ছিল। কারণ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছায়া থাকার কারণে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর গুজরাটের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয় ছবিটি।