নিউজ ডেস্ক: নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্মবার্ষিকীতে ধর্মতলার ডরিনা ক্রসিং থেকে ধর্মতলায় নেতাজী মূর্তি পর্যন্ত মিছিল আয়োজিত হল শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে। এই মিছিলে কোন দলীয় পতাকা ছিল না। শুধুমাত্র জাতীয় পতাকা কাঁধে নিয়ে মিছিল তিনি করেন। নেতাজি পার্কে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজী মূর্তিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে মাল্যদান করেন।
শিলিগুড়ি
রাজ্যের রাজধানী কলকাতার পাশাপাশি জেলা জুড়ে পালিত হল নেতাজীর জন্মজয়ন্তী। শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ি থেকে তরুণ তীর্থ মাঠ পর্যন্ত আয়োজিত হয় দৌড় প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় শহর শিলিগুড়ি সহ আশেপাশে এলাকার থেকে প্রায় দেড়শ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের উৎসাহ বাড়াতে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা শংকর ঘোষ।
মালদহ
ইতিহাসে এই প্রথম নেতাজির জন্ম জয়ন্তীতে নেতাজির মূর্তি বিহীন চাঁচলের নেতাজি মোড়। ব্যাপক ক্ষুব্ধ নেতাজী প্রেমীরা। ২০২৩ সালে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চাঁচল নেতাজি মোড়ে পুরনো নেতাজীর মূর্তি সরিয়ে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার আদলে নতুন মূর্তি বসানোর কথা বলা হয়। সেই অনুযায়ী পুরনো মূর্তি সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর নতুন মূর্তি বসানোর পরে উন্মোচনের আগেই নেতাজী প্রেমীরা অভিযোগ করে এই মূর্তি বিকৃত। মূর্তি তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এলাকাবাসীর চাপে পড়ে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ফের সেই মূর্তি সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু নেতাজির জন্মদিন চলে এলেও নতুন মূর্তি আর বসে নি। দেশ নেতাকে নিয়ে এই উদাসীনতায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ চাঁচলবাসী।
মালদহ
ভারতের কিংবদন্তী দেশনায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্ম জয়ন্তী পূর্ণ মর্যাদায় পালন করল মালদা জেলা প্রশাসন। দিনটি উপলক্ষে প্রথমেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে নেতাজির আবক্ষ মূর্তিতে প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করলেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন পর্ব শেষে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে বর্ণময় কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়।
জলপাইগুড়ি:
দেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজিকে স্মরণ করে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে পালন করা হল তাঁর ১২৭ তম জন্মদিন। নেতাজি সংগ্রহশালা ও জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য নেতা গোবিন্দ রায় সহ বিভিন্ন নেতারা। নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশনের অন্যতম কর্মকর্তা গোবিন্দ রায় বলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৩৯ সালে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি থাকাকালীন সময়ে জলপাইগুড়িতে আসেন। জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নেতাজির অনেক স্মৃতি। এজন্য এখানে গড়ে তোলা হয়েছে একটি ফটো গ্যালারি। এদিন টাউন স্টেশনের যাত্রী সহ স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে নিয়ে পালন করা হয় নেতাজির জন্মজয়ন্তী ।