নিউজ ডেস্ক: ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হচ্ছে দেশজুড়ে। প্রতিবারের মতো এবারও রেড রোডে পালিত হচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবস। এই উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই সেজে উঠেছিল কলকাতার এই বিশেষ রাস্তাটি। রেড রোডের এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এদিন প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে রেড রোডকে মুড়ে ফেলা হয়েছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বলয়ে। মোতায়েন করা হয় প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ কর্মী। মোট ১৭টি জোন এবং ১২৫টি সেক্টরে ভাগ করা হয় রেড রোডকে। এদিন এখানে উপস্থিত ছিলেন ২২জন ডেপুটি কমিশনার সহ ৪২জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকও। পুরো নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাস্তায় হাজির ছিল ৩টি কুইক রেসপন্স টিম, ৮টি এইচআরএফএস ভ্যান, ১২টি পেট্রোলিং মোটর বাইক। এদিন রেড রোডের প্রদর্শনে বিশেষ ট্যাবলয়েড ছিল কলকাতা পুলিশেরও।
কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। এদিন সকালে মালদা জেলা প্রশাসনের তরফে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। জেলা প্রশাসনের তরফে কুচকাওয়াজ, প্যারেডের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ট্যাবলোও প্রদর্শিত হয়।
নতুন মহকুমা ঘোষিত হওয়ার পর এই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হল ধূপগুড়িতে। ধূপগুড়ি ফুটবল ময়দানে প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মহকুমা শাসক তমজিৎ চক্রবর্তী। এরপর পুলিশ কর্মী, দমকল কর্মী সহ বিভিন্ন স্কুলের এনসিসি ক্যাডাররা অংশ নেন কুচকাওয়াজে।
উত্তর দিনাজপুরেও পালিত হয়েছে ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস। জেলাশাসক সুরিন্দর কুমার মীনা সকাল ন’টা পাঁচ মিনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর মীনা এবং জেলা আরক্ষাদিক সানা আখতার কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন। পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানেও এদিন জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তরফে পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। জেলা পুলিশ লাইনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি এবং জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানেও জেলা প্রশাসনের তরফে পালিত হল প্রজাতন্ত্র দিবস। এদিন সকালে সিপাহী বিদ্রোহের শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। কলকাতায় বিজেপির প্রধান দফতরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এছাড়াও হুগলি, নদীয়া, পুরলিয়া, বাঁকুড়া সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস এবং তাকে ঘিরে কুচকাওয়াজ ও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।