নিউজ ডেস্ক: মহেশতলার বৃহস্পতিবার রাত থেকেই উৎপাত করছিল এক হনুমান। শুক্রবার দীর্ঘপ্রচেষ্টার পর ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হল হনুমান। হনুমানকে উদ্ধার করে নিয়ে গেল বনদপ্তর। দুদিন ধরেই মহেশতলা ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর দৌলতপুর এলাকায় চলছিল হনুমানের দাপাদাপি। শুক্রবার সকালেও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলবাগান এলাকাতেও হনুমানের কামড়ে আহত হয় প্রায় দশ জন। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বনদপ্তরের আধিকারিকরা সেই হনুমানকে ধরার চেষ্টা চালান। খাঁচা পাতা হয় হনুমানকে ধরার জন্য। তবে সেই খাঁচাতেও ধরা দেয়নি হনুমান। অবশেষে বনদপ্তরের আধিকারিকদের দীর্ঘ চেষ্টা পর শুক্রবার ঘুম পাড়ানি গুলিতে কাবু হল হনুমান। শুক্রবার বিকেলেই বনদপ্তরের ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার দেবাশীষ পালের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। দীর্ঘক্ষণ বিভিন্ন জায়গায় বাঁদরের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে তারা। রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে আসতে রাতচোরা হনুমান বেরিয়ে পড়ে এলাকার একটি বাড়িতে ঢোকার জন্য। ব্যস এতেই কেল্লা ফতে। অভ্যর্থ নিশানায় বনদপ্তরের প্রথম ঘুম পাড়ানি গুলিতেই নেতিয়ে পড়ে বেচারা। ইতিমধ্যেই সেই হনুমানকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। বনদপ্তরের তরফে চিকিৎসা ক্রানো হবে ওই হনুমানের। ঘুম পাড়ানি গুলিতে হনুমান কাবু হওয়ার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।