নিউজ ডেস্ক: দলগাঁও চা বাগানে বনদপ্তরের পাতা খাঁচায় বন্দী হল একটি চিতাবাঘ। বুধবার সাত সকালে চিতাবাঘের গর্জনে ঘুম ভাঙে চা শ্রমিক মহল্লার। বুধবার ধরা পড়া চিতাবাঘটিকে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছেন বনকর্মীরা। তবে এলাকাবাসীর অনুমান, এখনও অনেক চিতা বাঘ রয়েছে ওই চা বাগানে। সম্প্রতি চিতাবাঘের আক্রমণের দলগাঁও চা বাগানে এক মহিলার মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখায়। এই ঘটনার পর বনদপ্তরের তরফে এলাকায় খাঁচা বসানো হয়। সেই খাঁচায় বুধবার বন্দি হল চিতাবাঘ।
অন্যদিকে লালমাটির দেশ পুরুলিয়াতেও চিতাবাঘের আতঙ্ক। দলগাঁওয়ের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়ায় প্রায় দুবছর পর লোকালয়ে চিতার। হানা দিল সরাসরি গৃহস্থবাড়িতে। পুরুলিয়া বনবিভাগের কোটশিলা বনাঞ্চলের ঝাড়খণ্ড লাগোয়া সিমনি গ্রামে এই ঘটনার সাক্ষী রইলেন এলাকার মানুষ। একেবারে গ্রামের ভিতরে ঢুকে যায় চিতাবাঘ। স্থানীয় বাসিন্দা অখিল কর্মকারের ঘরে ঢুকে তালাবন্ধ দরজার নিচের ফাঁক দিয়ে পা গলিয়ে গবাদি পশুকে টেনে আনার চেষ্টা চিতা। গবাদি পশুর শরীর ঝাপটানোর শব্দ, আর চিৎকার চেঁচামেচিতে বাড়ির লোকজন উঠোনে চলে আসেন। তারপরেই টর্চ জ্বালিয়ে চোখে পড়ে উঠোন জুড়ে চিতার পায়ের ছাপ। সেই সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে পিলে চমকানো সেই গর্জন। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতেই বনকর্মীরা ওই গ্রামে যান। এলাকার বাসিন্দাদের অভয় দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে হাতি তাড়ানোর কয়েকটি পটকা দিয়ে আসেন তারা।