নিউজ ডেস্ক: সরকারের আয় বেড়েছে। বেড়েছে সরকারি পরিষেবা। কর কাঠামো রইল অপরিবর্তিত। মহিলাদের কর্মসংস্থান বেড়েছে। লাখপতি দিদি প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের আয় বেড়েছে। ৮৩ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। ৯ কোটি মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা এসেছে। প্রযুক্তিগত প্রকল্প উৎপাদনশীলতার জন্য ভাল। আবাস যোজনায় ৩ কোটি বাড়ি হয়েছে। জিএসটির মাধ্যমে এক দেশ এক কর ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ফলে দেশের আয় বেড়েছে। ভোট অন অ্যাকাউন্ট বাজেট পেশ করে সংসদে জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
প্রসঙ্গত অর্থমন্ত্রী তাঁর ভাষণে জানান ভারত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আমদানিকারী দেশের তকমা মুছে ফেলতে বদ্ধপরিকর। প্রতিরক্ষা রফতানিতে প্রথম ২৫ এর তালিকায় এসেছে। আগামী ৫ বছর হবে অভূতপূর্ব উন্নয়নের বছর। অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করার সময় নির্মলা বলেছেন, “সরকার জিডিপি – গভর্নেন্স, ডেভেলপমেন্ট এবং পারফরম্যান্সের দিকে সমানভাবে মনোযোগী। অর্থনীতি ভালোই চলছে। মুদ্রাস্ফীতি মাঝারি। দরিদ্র, মহিলা, যুবসমাজ ও অন্নদাতার চাহিদা এবং আকাঙ্খাও সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমাদের দেশের উচ্চ আকাঙ্খা রয়েছে, বর্তমান নিয়ে গর্ব রয়েছে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আশা ও আস্থা রয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের সরকারের দুর্দান্ত কাজের সুবাদে, আমাদের সরকার জনগণের দ্বারা আবারও আশীর্বাদিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতীয় অর্থনীতি গত ১০ বছরে ইতিবাচক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে, দেশের জনগণ আশা ও আকাঙ্খা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের আশীর্বাদে, যখন আমাদের সরকার – প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে – ২০১৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল, তখন দেশ সবকা সাথ, সবকা বিকাশ-এর মন্ত্র হিসাবে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। সরকার সঠিক প্রচেষ্টায় সেই চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠেছে।”
আরও জানা গেছে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে স্বাস্থ্যসেবা সমস্ত আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সাহায্যকারীদের কাছে প্রসারিত করা হবে। কোভিডের জন্য চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। ৩ কোটি বাড়ির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাছাকাছি রয়েছে সরকার।”
বক্তৃতা থেকে সরকারের দাবি দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা কড়া হয়েছে। তবে ভারতের দুধের উৎপাদনশীলতা কম। পাউডার দুধ আমদানি করে তা প্যাকেজাত করে বিক্রি হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। সেই জায়গা থকে বেরিয়ে আসতে হবে দেশকে। ফলে গো পালন বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। দেশে কয়েকবছরে মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে। যার নেপথ্যে মৎস্য সম্পদা যোজনা। মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্রে এক লক্ষ কোটি টাকার রফতানি হবে বলে আশা করছে সরকার। আগামী দিনে আরও দুই কোটি বাড়ি তৈরির ভাবনা রয়েছে সরকারের। দুষণ মুক্ত শক্তির ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগ যেহেতু ফিস্কাল ডেফিসিট ৫ শতাংশের বেশি। ফলে দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।