নিউজ ডেস্ক: ইডির হাতে গ্রেফতার হতে পারেন আন্দাজ করতে পেরেছিলেন হেমন্ত সোরেন। বুধবার সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই ঘোষণা করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রীর নাম। হেমন্তের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফে বেছে নেওয়া হয়েছে চম্পাই সোরেনকে। হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। রাতেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। কৃষক পরিবারের সন্তান চম্পাই সোরেনকে ঝাড়খণ্ডের ‘টাইগার’ বলেও চিহ্নিত করা হয়।
চম্পাই সোরেন রাজনীতিতে আসার আগে কৃষিকাজ করতেন। হেমন্ত সোরেনের বাবা শিবু সোরেনের বন্ধু ছিলেন তিনি। সিএম হেমন্ত সোরেনকেও অনেক অনুষ্ঠানে তাঁর পা স্পর্শ করে প্রণাম করতে দেখা গিয়েছে। চম্পাই সোরেনের বাবা সিমাল সোরেন ছিলেন একজন কৃষক। সরাইকেলা-খারসাওয়ান জেলার জিলিংগোড়া গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। চম্পাইয়ের জীবনে রাজনীতি আসে পরে, তার আগে বাবার সঙ্গে চাষবাস করতেন তিনি। সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করতেন। দশম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করা হয়নি চম্পাই সোরেনের। খুব কম বয়সেই বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। রয়েছেন তাঁর চার সন্তান।
৯০-এর দশকের শেষের দিকে রাজনীতিতে পা রাখেন চম্পাই সোরেন। ঝাড়খণ্ডের আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আর রাজনৈতিক জীবনে পাকাপাকিভাবে প্রবেশ করেন বিধায়ক হয়ে। সরাইকেলা আসন থেকে নির্দল হিসেবে লড়াই করে বিধায়ক হয়েছিলেন চম্পাই। ঝাড়খণ্ডের মানুষ তাঁকে তখন থেকেই টাইগার বলে সম্বোধন করতে থাকেন।
জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি দীর্ঘ সময় ধরে হেমন্ত সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট ছিলেন না ইডি কর্তারা, এমনটাই জানা গিয়েছিল। হেমন্ত সোরেনকে ১৫ দিনের জন্য রাঁচিতে ইডি হেফাজতে রাখা হতে পারে বলে খবর।