নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনেই প্রশ্নপত্র ভাইরাল হওয়ার অভিযোগ। এবছর প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্ন ফাঁস রুখতে প্রশ্নপত্রের উপরেই কোডের ব্যবহার করা হয়েছে। প্রশ্নপত্রে কিউআর কোড বসানোর পদ্ধতি এ বছর প্রথম চালু করা হয়েছে।যে কোডের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা যাবে কোন পরীক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়েছে। প্রশ্নপত্রের প্রত্যেকটি পাতায় এই কোডের ব্যবহার করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু এত কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপ থাকা সত্বেও পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রশ্নের ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরে অবশ্য প্রশ্নপত্রের বার কোড দেখে দুই দোষীকে ধরে ফেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
জানা যায় পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই কারও কারও মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে মেসেজে ভেসে ওঠে মাধ্যমিকের প্রথম ভাষার প্রশ্নপত্র।এরপর ছাত্রছাত্রীরা বাইরে বেরিয়ে পরীক্ষার হলে পাওয়া প্রশ্নপত্র ওই ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে বিষয়টি সামনে আসে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে যে কোড ব্যবহার করা হয়েছিল তা যাচাই করে বোঝা যায় ওই প্রশ্ন পত্র মালদহের দুই পরীক্ষার্থীর ছিল। তড়িঘড়ি পর্ষদ তদন্ত নামে। পরীক্ষার্থী দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এর পাশাপাশি ওই দুই পরীক্ষার্থীর মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র ওই দুই পরীক্ষার্থী ঢুকে পড়েছিল। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তির খাঁড়া নেমে আসতে পারে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।