সিউড়ি:
সিউড়িতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পথ অবরোধের জেরে দৌড়তে দেখা গেল। অনেকটা দৌড়ে অবরোধমুক্ত এলাকায় পৌঁছে তাঁরা টোটো অটো ধরে পৌঁছলেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। মাধ্যমিকের সময় বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচীতে সরকার বাধা দিলেও অবরোধ কেন প্রশ্ন আমজনতার।
বেলগাছিয়া:
শুক্রবার শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনেই বিপত্তি। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার চাপ না নিতে পেরে অসুস্থ হয়ে যায় বেলগাছিয়ার উর্দু হাইস্কুলের এক ছাত্রী। অসুস্থ হওয়ায় চেয়েও পাওয়া যায়নি লেখক (writer)। সাবা সেলিম নামে ওই ছাত্রীর সিট পড়েছিল উল্টোডাঙা (ultodanga) সারদা প্রসাদ গার্লস স্কুলে। শুক্রবার পরীক্ষা হলে পৌঁছানোর কিছু পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকা কলকাতা পুরসভা হাসপাতালের চিকিৎসক প্রাথমিক ভাবে সাবার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করেন। এরপর স্থানীয় কাউন্সিলর অনিন্দ্য রাউতের উদ্যোগে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ছাত্রীকে। জানা গেছে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলেও লেখার ক্ষমতা তার ছিলনা। ছাত্রীর হয়ে তার ভাষা উর্দুতে উত্তর লিখে দেবার জন্য মেলেনি রাইটার।
জলপাইগুড়ি:
শনিবার মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে ইংরেজি পরীক্ষা। এরই মধ্যে একটু ছন্দপতন বেলাকোবা স্টেশন-সংলগ্ন এলাকায়। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বেলাকোবা স্টেশন-সংলগ্ন বেলাকোবা বাজারে রেলগেট বন্ধ থাকায় সাময়িক ভাবে যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকে পড়ে পরীক্ষার্থীরা। তবে পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসে জলপাইগুড়ির স্থানীয় পুলিশ।পরীক্ষার্থীদের বেলাকোবা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সিট পরেছিল। পরীক্ষার্থীরা আটকে গেলে তাদের বেশ কয়েকজনকে নিজেদের গাড়িতে করে সেন্টারে পৌঁছে দেয় পুলিশ।
বোলপুর:
বাবার শ্রাদ্ধে কাজ সম্পন্ন করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসল ছেলে। শুক্রবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল বোলপুর শহরের ত্রিশূলাপট্টি এলাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বোলপুর নিচুপট্টি নীরদবরণী বিদ্যালয়ের ছাত্র রূপঙ্কর।তার পরীক্ষাকেন্দ্র বোলপুর শিক্ষানিকেতন আশ্রম বিদ্যালয়। জানা যায় বেশ কিছুদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ দাস। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে তাঁর সংসার। বড় ছেলে রূপঙ্কর এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বছর আটচল্লিশের প্রদীপের। পরিবারে নেমে আসে বিপর্যয়। পরীক্ষার ঠিক আগে বাবাকে হারিয়ে সর্বহারা হয়ে পড়ে রূপঙ্কর। তবে,এরপরেও দমে যায়নি রূপঙ্কর। পিতৃশোক সামলে মা এবং পরিজনেদের বোঝানোর পরে রূপঙ্কর সিদ্ধান্ত নেয়, সে পরীক্ষা দেবে। বাবার ইচ্ছার মান রাখতে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর এই সিদ্ধান্তকে বাহবা জানিয়েছেন তার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে স্থানীয়েরা।