নিউজ ডেস্ক: দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন দেওয়া হচ্ছে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীকে। শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে সে কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই খুশির খবরে আনন্দ ব্যক্ত করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই খবরে আপ্লুত আডবাণীর পরিবার।
ভারতীয় রাজনীতিতে লালকৃষ্ণ আডবাণীর অবদান যথেষ্ট। ভারতীয় জনতা পার্টি এবং এই দলের পূর্বসুরী ভারতীয় জনসঙ্ঘ তৈরির কারিগর ছিলেন তিনিই। ভারতীয় জনতা পার্টি আজ যে রাজনৈতিক গুরুত্ব লাভ করেছে তাঁর কারিগর মনে করা হয় তাঁকে। আশির দশকের শেষে রথযাত্রা এবং রাম মন্দির আন্দোলনের প্রাণপুরুষ তিনিই। রাম মন্দির আজ অযোধ্যায় মাটিতে দাঁড়িয়ে। সেই রাম মন্দিরের জন্য জনসমর্থন আদায়ের কঠিন কাজ শুরু করেছিলেন তিনিই। রাষ্ট্রবাদ ও হিন্দুত্বের মিশেলের রাজনীতি ভারতের আঙ্গিনায় আনার কারিগর মনে করা হয় তাঁকে।
অটল বিহারী বাজপেয়ীর পর এবার লালকৃষ্ণ আডবাণী ভারত রত্ন সম্মানে ভূষিত হলেন৷ বিজেপির দুই মহীরুহ নেতাকেই ভারত রত্ন সম্মান দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার৷ ২০১৫ সালে ভারত রত্ন পেয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী৷ আর ৯৬ বছর বয়সে লালকৃষ্ণ আডবাণীকে ভারত রত্ন সম্মান দিয়ে নিন্দুকদের মুখে কুলুপ পরিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ লালকৃষ্ণ আডবাণীর মত প্রবীণ নেতারা মোদির আমলে দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন এমনটাই নিন্দুকদের অভিযোগ৷ সম্প্রতি রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশীর মতো নেতার অনুপস্থিতিতে সেই বিতর্ক নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছিল৷ যার যোগ্য জবাব এসেছিল মন্দির কমিটি এবং বিজেপির তরফে। তাঁরা দুজনেই যে বয়সজনিত কারণে আসতে পারতেন না তা আগেই জানিয়েছিল পরিবার। রাম মন্দির উদ্বোধনের কয়েক দিনের মধ্যেই আডবাণীর জন্য ভারত রত্ন ঘোষণা করে মন্দিরের কৃতিত্ব আডবানীকে উৎসর্গ ও নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন নরেন্দ্র মোদি?