নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ঢাকতেই একসঙ্গে তিন তিনটি পদ থেকে ইস্তফা দেবের। শনিবার বিকেলের দিকে আচমকাই ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান এবং বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন দেব। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পোস্টার হাতে ঘাটালে প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। প্রতিবাদী কর্মসূচীতে পোস্টারে লেখা ছিল, ‘দুর্নীতির ঢাকতে বিজেপির ভয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন দেব’।
বিজেপি বিধায়ক হিরণ এই প্রসঙ্গে বলেন, ”আমি সাধুবাদ জানাই। ১০ বছর পরে হলেও তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শ্যুটিং করতে করতে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। রাজনীতি কোনও পার্ট টাইম জব নয়। ১০ বছর ধরে পার্ট টাইম পলিটিশিয়ান হয়ে কাজ করার পর তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।”এর পাশাপাশি হিরণ আরও বলেন, ”রাজনীতি ২৪ ঘণ্টার ফুল টাইম কাজ। আমি গত ৩ বছরে সর্বস্ব দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, কাজ করেছি তাই মানুষ তৃণমূলের এই সন্ত্রাস, গুণ্ডামির মধ্যেও আমাকে তিনটি নির্বাচনে জিতিয়েছেন। কিন্তু দেব শেষ ১০ বছরে কী করেছে, তার পরিসংখ্যান কেউ দিতে পারবে না। ২০ শতাংশের নিচে তাঁর সংসদে উপস্থিতির হার।”
এপ্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘অপেক্ষা করুন সাংসদ পথ থেকেও ইস্তফা দেবেন দেব। সবে তো সকাল। দুপুর এখনও বাকি।’’
এদিকে পদত্যাগের খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় ঘাটাল জুড়ে। তৃণমূলের অন্দরেও চলে তুমুল আলোচনা। বিশেষ করে লোকসভা ভোটের আগে দেবের এই ইস্তফার জেরে তিনি আর ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন নাকি নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন তা নিয়ে তরজা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
তবে এখনও পর্যন্ত দেবের ইস্তফা নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রবিবার ফালাকাটায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম শুধু বলেছেন, ‘‘দেব আমাদের সঙ্গে ছিল এবং আছে।’’
অবশ্য এ প্রসঙ্গে সাংসদ ঘনিষ্ঠেরাই বলেছেন ব্যক্তিগত কারণেই দেবের এই পদত্যাগ। তবে সাংসদ নিজে এ বিষয়ে এখনও কিছু বলেননি। এই আবহে দুর্নীতির প্রসঙ্গ উস্কে দিয়েছে বিজেপি।