নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটল দক্ষিনের তিন রাজ্য। বিজেপি বিরোধিতায় এবার একজোট হয়ে দিল্লি দরবারে ধর্নায় বসল কেরল,কর্নাটক ও তামিলনাড়ু সরকার। যদিও দাক্ষিণাত্যের এই প্রতিবাদী ধর্নার পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবিষয়ে মোদী বলেন, “হিমালয় পর্বত যদি বলে, তার হিমবাহ থেকে তৈরি নদী থেকে কাউকে জল দেব না! যে সব রাজ্যে কয়লা খনি রয়েছে। তারা যদি বলে অন্য কাউকে কয়লা দেব না। তা হলে কী ভাবে চলবে! তিনি আরও বলেন, “দেশের কোন অঙ্গকে আলাদা করে দেখা উচিত নয়। কোন রাজ্য নিজেদের আলাদা যদি মনে করে তাঁদের এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে”।
ঝাঁটা নিয়ে দিঘায় প্রতিবাদ মিছিল করলো বিজেপি মহিলা মোর্চা এই মিছিলে পা মেলান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, বুধবারই দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেছিল কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। পাশাপাশি যোগ দেন তামিলনাড়ুর বহু নেতা ও মন্ত্রিও। এরপর বৃহস্পতিবার যন্তর মন্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা ও বৈমাত্রেয় আচরণের প্রতিবাদে মন্ত্রিসভার সদস্য, সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে ধর্ণায় বসছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁদের দাবি, ইচ্ছা করে রাজ্যের বকেয়া আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তাছাড়াও জিএসটি সংগ্রহে নিজেদের অংশ মিলছে না বলেও দাবি কর্নাটকের।
দাক্ষিণাত্য থেকে আসা পরপর অভিযোগের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যসভায় সরকারি তহবিল নিয়ে রাজনীতিকে ‘বিপজ্জনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।এরই সঙ্গে রাজ্যসভায় কংগ্রেসকে নিশানা করে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, ডি কে শিবকুমাররা যন্তর মন্তরে ‘আমার কর, আমার অধিকার’ স্লোগান তুলেছেন।এর উত্তরে পাল্টা জবাবও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কয়েকশো মিটার দূর থেকে সংসদে দাঁড়িয়ে মোদী এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, ‘‘আমাদের কর, আমাদের টাকা। এ কেমন ভাষা বলা হচ্ছে? দেশের মধ্যে ফাটল ধরানোর নতুন কারণ তৈরি করা হচ্ছে।”