নিউজ ডেস্ক: আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতারের পরদিনই
উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। শুক্রবার সকালে তৃণমূল ও আইএসএফ সংঘর্ষে ব্যপক উত্তেজনা
ছড়ায় ভাঙরের কোচপুকুর এলাকায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা। খবর পেয়ে
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উওর কাশীপুর থানার পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ
করতে হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী।
শুক্রবার দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে
আইএসএফ এবং তৃণমূল কর্মীরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এরপরেই সেই বচসা রীতিমতো সংঘর্ষে
পৌঁছয়। জানা গেছে, তৃণমূলের কিছু কর্মী ওই এলাকায়
দলের পতাকা লাগাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেখানে আগে থেকে আইএসএফের
পতাকা লাগানো ছিল। সেই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন তৃণমূল কর্মীরা। আইএসএফ কর্মীরা তার
প্রতিবাদ করলে বচসা শুরু হয়। তৃণমূলের তরফে পাল্টা দাবি, আইএসএফের
পতাকা আগে থেকেই নীচে পড়ে ছিল। পতাকা ছেঁড়ার কথা তাঁরা অস্বীকার করেছেন। এই
ঘটনার পরেই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের পক্ষ থেকে উত্তর কাশীপুর থানায় অভিযোগ
জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে,শুক্রবার
সকালে ভাঙড়ে পোলেরহাট-১ গ্রামপঞ্চায়েতের একটি স্কুলের পাশ থেকে বোমা উদ্ধার হয়।
মাধ্যমিক পরীক্ষার এই আবহে স্কুলের পিছন থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই
চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে কে বা কারা এই বোমা রাখল,তাদের
উদ্দেশ্যই বা কী, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। এই মুহূর্তে
পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নামানো
হয়েছে র্যাফ।
প্রসঙ্গত, জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য আরাবুলকে বৃহস্পতিবার রাতেই
লালবাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশের সূত্রে খবর, আরাবুলের
মতো নেতার গ্রেফতারির ঘটনা স্পর্শকাতর, তাই তাঁকে স্থানীয়
থানায় না নিয়ে গিয়ে সোজা লালবাজারে আনা হয়েছে।