নিউজ ডেস্ক: আবারও পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল পাঞ্জাব। মালদহের চাঁচল ১ ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধঞ্জনা গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিক বছর ৫০ এর ইলিয়াস আলির মৃত্যু হয়েছে পাঞ্জাবে। পরিবারের অভিযোগ হাসপাতাল থেকে দেহ ছাড়াতে জমি বন্ধক দেয় ওই শ্রমিকের পরিবার।
সাত দিন আগে ভিন রাজ্য পাঞ্জাবে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন মালদার ইলিয়াস আলি। সেখানেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণার কারণে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই পরিযায়ী শ্রমিককে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ টাকার জন্য দেহ ছাড়া হচ্ছিল না হাসপাতাল থেকে। অবশেষে বিল মেটানোর জন্য তারা বাধ্য হয়ে পরিবারের শেষ সম্বল ১৭ কাঠা চাষের জমি রাতারাতি বন্ধক দেয়। এরপর বিল মিটিয়ে দেহ আনা হয়। শনিবার সাড়ে এগারোটা নাগাদ দেহ পৌঁছয় বাড়িতে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে মৃতের। দুই ছেলে ভিনরাজ্যে কর্মরত। এক মেয়ের সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে। মেয়ের বিয়ের ঋণ মেটাতেই পাঞ্জাবে রাইসমিলের কাজে এক সপ্তাহ আগে বাড়ি থেকে পাড়ি দেন ইলিয়াস সাহেব। মৃতের স্ত্রী হাসিনা বিবি কেঁদে বলেন, স্বামীকে দেখার জন্য শেষ সম্বল টুকুও বন্ধক রাখতে হল। সরকারি সাহায্য না মিললে পথে বসতে হবে।
যদিও এখনো পর্যন্ত প্রশাসন আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা পরিবারের খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ। ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।