নিউজ ডেস্ক: এ যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। ধরাভূমে পা রেখে প্রাণ ফিরে পেলেন সাত প্রাক্তন নৌসেনা কর্তা। হাসি যেন ধরছিল না তাঁদের মুখে! কয়েকদিন আগেও যে মানুষগুলির ঘুম উড়েছিল, দেশে ফিরতে পারবেন কিনা, পরিবারের সদস্যদের দেখতে পারবেন কিনা তাই অনিশ্চিত ছিল তাঁদের কাছে। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে প্রহর গুনছিলেন তাঁরা। কাতারের আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল তাঁদের। শুধুমাত্র একটা ভরসা ছিল দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র মোদী। তার যোগ্য সঙ্গী এস জয়শংকর। পারলে একমাত্র তারাই পারবেন! সত্যিই তাই হল। দেশের মাটিতে পা রেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে সেকথাই বার বার আউড়ে গেলেন সাত প্রাক্তন নৌসেনা কর্তা।
২০২২ সালের অগাস্ট মাস। আট প্রাক্তন নৌসেনা কর্তাকে আটক করেছিল কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁরা কাতারের বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ইজরায়েলে চরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছিল। কাতারের আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে চড়বৃত্তির অভিযোগ তোলা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সক্রিয় হয়ে ওঠে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। শুরু হয় টানাপোড়েন। সাজা কমানোর জন্য আবেদন করেছিল ভারত। সেই সময় তাঁদের সাজা কমিয়ে কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে গত বছর ডিসেম্বরে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮-এ যোগ দিতে দুবাইতে এসেছিলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। সেই সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরই ভারত সরকারের তরফে কাতারের আদালতে আনুষ্ঠানিক ভাবে সাজা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। তখন ওই আধিকারিকদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় কাতার। অবশেষে ইন্ডিগো বিমানে রবিবার ভোররাত ২টোর সময় দেশে ফেরেন সাত প্রাক্তন নৌসেনা কর্তা।
অন্য দেশগুলির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ভালো সম্পর্কর জন্যই এই ঘটনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি। অন্যদিকে এই ঘটনায় আপ্লুত কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তিনিও স্বীকার করেছেন দেশের বিদেশ মন্ত্রকের দক্ষতা। ভারতের এই জয়ের নেপথ্যে ‘মোদী ম্যাজিক’ রয়েছে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।