নিউজ ডেস্ক: জামায় সন্দেশখালি নিয়ে স্লোগান, বিধানসভার নিয়ম বিরুদ্ধ হওয়ায় সাসপেন্ড ৬ বিজেপি বিধায়ক। সন্দেশখালি নিয়ে ফের বিধানসভায় শুরু গন্ডগোল। সোমবার বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা সবাই সন্দেশখালি স্লোগান লেখা সাদা গেঞ্জি পরে আসেন। এরপরে স্পিকার শুভেন্দু কে ‘সন্দেশ খালি সঙ্গে আছি ‘ গেঞ্জি খুলে ফেলতে বলেন। তিনি জানান এটা বিধানসভার নিয়ম বিরুদ্ধ। কিন্তু স্পিকারের সেই কথায় কর্ণপাত করেনি গেরুয়া শিবির।
সোমবার বিধানসভায় অধিবেশন চলা কালীন প্রথমে স্বরাষ্ট্র সফরের প্রশ্নোত্তর পর্ব কেন হচ্ছে না সেই নিয়ে তালিকা বহির্ভূত প্রশ্ন করেন বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন শুনলেও তা লিপিবদ্ধ রাখতে বারণ করেন স্পিকার। এরপর বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে দিতে কাগজ ছিঁড়তে থাকেন। এ ঘটনায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কাগজ ছিঁড়ে বিধানসভার মহিলা কর্মীদের গায়ে ছুড়ে মারার প্রতিবাদ করেন। শেষে চেয়ার ছেড়ে মেঝেতে বসেন তাঁরা। এরপরেই শুভেন্দু-সহ ৬ জন বিধায়ককের এমন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের সাসপেন্ড করেন স্পিকার। শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, তাপসী মন্ডল, শঙ্কর ঘোষ, বঙ্কিম ঘোষ, মিহির গোস্বামী কে অবশিষ্ঠ অধিবেশনের জন্যে ৩৪৭ ধারায় সাসপেন্ড করা হয়। ফলে চলতি বছরের রাজ্য বাজেট অধিবেশনে আর এক দিনও অংশ নিতে পারবেন না তাঁরা।
সোমবার শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় এই সংক্রান্ত প্রস্তাব এনেছিলেন। বিজেপির বিধায়কদের কাণ্ড দেখে রাজ্য বিধানসভার বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নির্মল ঘোষকে নির্দেশ দেন অধ্যক্ষকে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাতে। সেই সময় নির্মল ঘোষ অধ্যক্ষের কাছে বিজেপির পুরো পরিষদীয় দলকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। অধ্যক্ষ তাতে নারাজ হওয়ায় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব সংশোধন করে শুভেন্দু-সহ ৬ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। অধ্যক্ষ সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন ও তাঁর নির্দেশিকা জানিয়ে দেন। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই সাসপেনশনের বিষয়ে জানান, ”আমরা গর্বিত। সন্দেশখালির মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা লড়াই করছি। তার জন্য যদি সাসপেন্ড হতে হয়, হব।”