নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় কলকাতার
৬টি জায়গায় তল্লাশি। সল্টলেক, বাগুইআটি, মেট্রোপলিটন সহ একাধিক জায়গায় চলছে তল্লাশি।
সল্টলেকে বিশ্বজিত দাসের বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে কথাকাটি হয় কেন্দ্রীয়
বাহিনীর। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে অভিযান শুরু করে ইডি। পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি সহ নিউ-আলিপুরের বিভিন্ন জায়গায়
মঙ্গলবার তল্লাশিতে নামেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে আছেন কেন্দ্রীয়
বাহিনীর জওয়ানরা। ইডি সূত্রের খবর, রেশন মামলার তদন্তে যে
কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করা হয়েছিল, সেই টাকা কোথায় এবং কী ভাবে
বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা জানতেই এই তল্লাশি অভিযান চলছে।
ইডি সুত্রে খবর, মঙ্গলবার
সকাল থেকেই বিশ্বজিৎ দাসের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছেন কেন্দ্রীয়
গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি রেশন দুর্নীতি তদন্তে ফের একবার কৈখালীতে বাকিবুর রহমানের
অভিজাত আবাসনে তল্লাশিতে যান ইডি আধিকারিকেরা। তবে এবার বাকিবুরের ফ্ল্যাটে নয়,
বাকিবুর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ওই আবাসনের বাসিন্দা হানিস তোসিবালের
ফ্লাটে অভিযান চালাচ্ছে ইডি আধিকারিকেরা। ইডি হানা দিতেই তথ্য লোপাটের চেষ্টায়
মোবাইল ছুড়ে ফেলেন ওই ব্যবসায়ী। পরে সেই মোবাইল খুঁজে আনলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর
জওয়ানরা। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলছে এই অভিযান। সূত্রের খবর, এরই সঙ্গে নিউ আলিপুরের ব্যবসায়ী সুনীল কায়ানের বাড়িতেও পৌঁছে গেছে ইডির
দল। অন্যদিকে বাগুইআটির একটি আবাসনেও চলছে ইডির হানা।
প্রসঙ্গত, এই দুর্নীতির
সঙ্গে জড়িত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ইডি।
জ্যোতিপ্রিয়ের সূত্র ধরেই এই মামলায় বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের নাম
পায় ইডি। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে
পরিচিত ব্যবসায়ী তথা চাল-গমের মিল মালিক বাকিবুর রহমান এবং বনগাঁর প্রাক্তন
পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকেও। যদিও রেশনকাণ্ডে তৃণমূলের আরেক প্রভাবশালী নেতা, সন্দেশখালির শাহজাহান শেখ এখনও অধরা।