নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: এই বছর সরস্বতী
পূজা ও ভ্যালেন্টাইন ডে একই দিনে পড়েছে। যদিও দুই বিশেষ পর্বের জাঁতাকলে পরে জল
ঝরছে ক্রেতাদের চোখ থেকে। ফুলের দামে হাতে ছ্যাঁকা খাচ্ছে আমজনতা। চলতিমাসে অকাল বৃষ্টির কারণে বহু ফুলের গাছ নষ্ট হয়েছে। ধাক্কা খেয়েছে ফুল চাষ। ফুলের জোগান কমে যাওয়ার ফলে ফুলের
দাম বাড়ছে হুহু করে। আর এর জেরে বাজারে ফুলের দাম অন্য সময়ের
তুলনায় অনেকটাই বেশি। আর তাতেই গৃহস্থ্যের হাতে ছ্যাঁকা লাগছে ফুলের
দামে। অগত্যা কোপ পড়ছে ফুল ক্রেতাদের বাজেটে। ফেব্রুয়ারি
মাসে একদিকে বিবাহের মরশুম চলছে, এরই মধ্যে পড়েছে সরস্বতী
পুজো। আবার সেই দিনেই তরুণ তরুণীদের উপর কয়েক বছর ধরে চাপিয়ে দেওয়া উৎসব ভ্যালেন্টাইন্স ডে। তাই বাজারে বেড়েছে ফুলের দাম। এবার সরস্বতী পুজো
উদ্যোক্তা থেকে গৃহস্থ্যের ফুল কিনতে অনেক বেশি গ্যাটের কড়ি খসাতে হচ্ছে তা বলাই
বাহুল্য। হাওড়ার ফুল বাজার জগন্নাথ ঘাট। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই ফুল বাজারে
ক্রমশই ভিড় বাড়ছে। কলকাতার সিঁথির মোড় থেকে জগন্নাথ ঘাটের
ফুলের বাজারে এসেছেন সন্দীপন মন্ডল। সন্দীপন বলেন,’ এবছর
ফুলের দাম অনেক বেড়েছে। আমি আগেও এখান থেকে ফুল কিনেছি। এত দাম ছিল না। এই বছর
অপ্রত্যাশিত ফুলের দাম খুবই চড়া। বাড়ির পুজার জন্য যতটুকু প্রয়োজন সেটুকুই কিনলাম।‘
সন্দীপনের মতোই চড়া দামেই সরস্বতী পুজোর জন্য পদ্ম ও পলাশ ফুল
কিনছেন অন্য ক্রেতারাও। বর্ধমান থেকে বন্ধুর বিবাহের ফুল কিনতে এসেছেন বিশ্বজিত।
তিনি বলেন,’ ফুলের যা দাম হাত দেওয়া যাচ্ছে না। গোলাপের
মারাত্মক দাম। রজনীগন্ধা কেউ একশো, কেউ দুশো টাকা দাম চাইছে।
এই বছর অকাল বৃষ্টির জন্যই বাজারে ফুলের দাম এত চড়া।‘
বিবাহের মরশুমে বিয়ে বাড়ির গাড়ি সাজানোর জন্য
অনেকে ফুল কিনতে এসেছেন ফুল বাজারে। ক্রেতা- বিক্রেতা সকলেই স্বীকার করছেন ফুলের
দাম এখন বেশি। চড়া দামেই তাকে কিনতে হচ্ছে ফুল। যদিও ফুলের দাম আরও বাড়বে বলেই
দাবি বিক্রেতাদের। এখন মোটামুটি ৪০০ টাকা বাসন্তী,
৩০০ টাকা লাল ফুল, গোলাপ একশো পিস ৪০০ টাকা
দামে বিক্রি হলেও দাম আরও বাড়বে। ফুল
বিক্রেতা মন্টু নায়েক বলেন, ‘এখানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ফুল কিনতে আসেন। এবছর
অকাল বৃষ্টির জন ফুলের গাছ নষ্ট হয়েছে। তাই ফুলের দাম চড়া।‘
অতএব উৎসবের মরশুমে মনের মত ফুল কিনতে গেলে বেশ
ভাল মতই বেগ পেতে হবে পুজো উদ্যোক্তা সহ গৃহস্থের।