নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়া: গাছের উচ্চতা সাত ফুট,
একটি গাছ থেকেই পাওয়া যাবে প্রায় ১০ কেজি করে সর্ষে। অভিনব চাষে নতুন করে আয়ের দিশা দেখাচ্ছে
বাংলার কৃষক। নদীয়ার গাংনাপুর থানার দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কোড়াবাড়ি
গ্রামের বাসিন্দ বিকাশ দাস। পেশায় কৃষক । মূলত কৃষির ওপর নির্ভর করে তার সংসার
চলে। বর্তমান সময়ে কৃষির উপর নির্ভর করে সংসার চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
অনেকে আয় সেভাবে না হওয়াতে কৃষি কাজ ছেড়ে অন্যান্য পেশায় যোগ দিয়েছেন। একদিকে
যেমন রাসায়নিক এবং কীটনাশক কিংবা জৈব সারের দাম বৃদ্ধি অন্যদিকে খরচের তুলনায় কম
দামে বিক্রি করতে হয় বিভিন্ন কৃষিজ দ্রব্য। লাভ তো দূরের কথা অনেক সময় ক্ষতির
মুখে পড়ে চাষিরা। নদীয়া জেলা সহ পশ্চিমবাংলায়
চাষ করে সামান্য কিছু লাভ হলেও অতিরিক্ত লাভের আশা থেকে বঞ্চিত থাকে
চাষিরা। চাষী বিকাশ দাস বলেন প্রথমে তার বন্ধু ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পাই। সেই ভিডিওতে দেখা যায় এই
অভিনব সরষের বিবরণ। সেই বিবরণ দেখেই তিনি হরিয়ানাতে ১০০ গ্রাম বীজের অর্ডার
দেন। ১০০ গ্রাম বীজ কিনতে খরচ পড়ে ৫০০
টাকা। কুরিয়ার এর মাধ্যমে তার বাড়িতে সেই বীজ এসে পৌঁছায়। তিনি প্রথমে ছয় কাটা
জমিতে এই সর্ষে চাষ করেন। তার জমিতে গাছের
এক একটি উচ্চতা হয়ে দাঁড়িয়েছে সাত ফুট ।
১০০ গ্রাম বীজ দিয়ে এক বিঘা জমি চাষ করা যাবে এই সর্ষের। অন্যান্য যে
সমস্ত সাধারণ চাষ রয়েছে সেখানে বিঘে
প্রতি দু কুইন্টাল সর্ষে পাওয়া যায়। কিন্তু এই সর্ষে চাষ করলে বিঘা প্রতি প্রায়
ছয় থেকে সাত কুইন্টাল কখনো কখনো ৮ কুইন্টাল পর্যন্ত সর্ষে পাওয়া যাবে। অন্যান্য সাধারণ সর্ষে চাষের খরচের তুলনায়
সামান্য একটু বেশি এই সর্ষে চাষ। মূলত দুইবার জমিতে সেচের ব্যবস্থা করতে হয়।
প্রায় চার মাসেরও কম লাগে এই সর্ষে চাষ করতে। তিনি বলেন অন্যান্য সর্ষে চাষ করে
চাষিরা যেমন হতাশ হয়ে পড়েন এই সর্ষে চাষ করলে অনেকটাই লাভের অংশ দেখতে পারবে
চাষীরা। বাংলার বিভিন্ন জেলার যে আবহাওয়া সেই আবহাওয়াতে এই চাষ সম্ভব ।
অযোধ্যার পর আবু ধাবী। বিদেশের
মাটিতে বিশাল মন্দিরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার
সকাল ৮ টা থেকে আবু ধাবির প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। দু’দিনের সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার
প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নহয়ানের সঙ্গে বৈঠক ছিল মোদির। সফরের দ্বিতীয়
দিনে মন্দির উদ্বোধন করবেন তিনি।
২৭ একর জায়গায়
তৈরি হয়েছে স্বামীনারায়ণ মন্দির। দুবাই-আবু ধাবি শেখ জায়েদ হাইওয়ের কাছে আল
রভাতে আবু মুরিখা অঞ্চলে এই মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এর ভিত্তিপ্রস্থর
স্থাপন হয়। যার নির্মাণে খরচ হয়েছে ৮০০ কোটি টাকা। গোলাপি বেলেপাথর দিয়ে
তৈরি হয়েছে আবু ধাবির প্রথম হিন্দু মন্দির। রাজস্থান এবং গুজরাটের শিল্পীরা ২৫
হাজার পাথর দিয়ে এটি তৈরি করেছেন। রাজস্থান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গোলাপি
বেলেপাথর