নিউজ ডেস্ক: এবারও ক্যাম্পাসের
ভিতর পুজো করতে দিল না প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্যুলার পড়ুয়ারা। তথাকথিত মুক্তমনা
ও মাকু ছাত্রদের আঁতুড়ঘর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে এবার সরস্বতী পুজো হল পথের
ধারে। বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা হল ধুলো মাখা কলেজ স্ট্রিটের ধারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক ছাত্ররা
জানান আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মচারীরা ক্যাম্পাসের ভিতরেই পুজো করতেন। সেই
পুজ বন্ধ হয়ে যায়। সেটিকে ছাত্ররা পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিলেও তাতে সিলমোহর দেননি
ডিন। ছাত্রদের মতে যেহেতু কলেজের ভীতর বাম মনোভাবাপন্ন ছাত্র ছাত্রীদের রমরমা তাই অহেতুক
অশান্তি এড়াতেই এই পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। ছাত্র ছাত্রীদের মতে শুধু সরসওতী
পুজো নয় দোল খেলাতেও চোখ রাঙানির শিকার হতে হয় ছাত্র ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মনিরপেক্ষতা
বজায় রাখতে বাম ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষকদের একাংশ নিজেদের কাঁধে এই নীতিপুলিশের দায় তুলে
নিয়েছেন। তবে গাজায় চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনকে প্রত্যক্ষ সমর্থন, রাখাইনে ফের যুদ্ধ
পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা পক্ষপকে সমর্থনে কোন ছুঁতমার্গ রাখেন না ওই তথাকথিত প্রগতিশীল
ছাত্র ছাত্রীরা।
অন্যদিকে বাংলাদেশের মত মুসলিম
সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যকে বিভাগে সরস্বতী পুজো পালিত হয়
ধুমধাম করে। তাতে যোগ দেন মুসলিম ছাত্ররা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো দেখতে
দুরদুরান্ত থেকে মানুষ আসেন। ভারতের বাইরে
ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজো হয় ধুমধাম করে। অতীতে প্রেসিডেন্সির
নাম ছিল হিন্দু কলেজ। সেই শিক্ষাতীর্থে আজ বাণী বন্দনা নিষিদ্ধ। তবে চলতি বছর ভ্যালেন্টাইন
দে পালনে পিছিয়ে ছিল না প্রেসিডেন্সি। ভ্যালেন্টাইন ডে পালনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি
সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয় না। এমনকি তাতে ধর্ম্নিরপেক্ষতাও অক্ষুণ্ণ থাকে হয়ত। পাশ্চাত্য
পর্ব পালনে বাধা নেই সেকু ও মাকু ছাত্র সংগঠনের। তবে প্রেসিডেন্সিতে বাণী বন্দনা নিষিদ্ধ
হলেও পশ্চিমবঙ্গের বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবার সরস্বতী পুজো পালিত হয়েছে ধুমধাম করে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের
নৃত্যকলা কেন্দ্র থেকে শুরু করে আন্দুল রাজবাড়ি। উত্তরবঙ্গ থেকে সাগর পর্যন্ত বাংলা
জুড়ে সরস্বতীপুজ পালনের মাঝে কালো তিলক যেন প্রেসিডেন্সি। তবে ছাত্ররা আশাবাদী দন বদল
হবে অতীতের হিন্দু কলেজ বর্তমান প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও। ছাত্রছাত্রীরা কটাক্ষা
করে বলছেন রাম মন্দির হয়েছে। জ্ঞানবাপীতে ৩০ বছর পর পুজো শুরু হয়েছ তো বইপাড়ার প্রেসিডেন্সি
কোন ছাড়।