নিউজ ডেস্ক: চার জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায়
পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার
রাতে চোপড়ার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেতনাগছ এলাকায় এলেন। সন্তান হারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিনিধি দলের কমিশনের
চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস বলেন, “বিএসএফ চাইলেও এই দায় এড়াতে পারে না । এত বড় একটা কাজ করা হয়েছে অথচ কোনো সতর্কতা অবলম্বন
করা হয়নি। অন্তত স্থানীয় প্রশাসন মহলে বিষয়টি নজরে আনতে পারতেন। তাহলে হয়তো এই
অঘটন ঘটতো না” । পাশাপাশি তিনি রাজ্যপালের কাছে বিনীত অনুরোধ
করেন অন্তত একবার এই এলাকা এসে পরিদর্শন করে যাওয়ার । রাজ্যপাল সন্দেশখালি যেতে
পারলে এখানেও আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন । অন্য এক প্রতিনিধি সদস্য অনন্যা
চক্রবর্তী বলেন, “এখানকার সমস্ত রিপোর্ট রাজ্যতে পাঠানো হবে
। নালা তৈরীর সময় এলাকায় সাইনবোর্ড সহ বিভিন্ন সতর্কবার্তা অবলম্বন করা উচিত ছিল
বলে তিনি মনে করেন”।
অন্যদিকে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল
এদিন চোপড়া কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টচার্য,
ব্রাত্য বসু, বীরবাহা হাসদা, দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সহ আরও অনেকে। তারা রাজ্যপালালের কাছে চোপড়া পরিদর্শন
ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট পাঠানোর আবেদন জানায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর চন্দ্রিমা ভট্টচার্য বলেন, “আমরা আমাদের দলের তরফে একটি ডেপুটেশনে দিতে রাষ্যপালের কাছে গিয়েছিলাম। উত্তর দিনাজ পুরের চোপড়ার হৃদয় বিদারক ঘটনা। তারা গ্রানবাসীকে সতর্ক করেনি। তারফলে, জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে প্রায়। আমরা রাজ্যপালকে বললাম, আপনি ঘটনা স্থলে যান। বিএসএফ অবৈধ ভাবে কাজ করছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানান। আপনি সন্দেশখালীতেও কাটছাঁট করে গিয়েছিলেন। এবারও চোপড়ায় যান।
মাননীয় রাজ্যপাল অত্যন্ত মানবিক ভাবে শুনেছেন। উনি যাবেন বলে খুশি। আমরা দেখব উনি কবে যাবেন।
সন্দেশখালি তে এক তরফা ভাবে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের থেকেও রিপোর্ট নিন। যেটা কোনও কিছু না দেখে যেটা আইনত করার সেটাই করুন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে তিনি কখনও অপমান করেন না। সম্মান করেন”।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মৃত শিশুর
পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন
রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল। BSF এর ভয়ঙ্কর
গাফিলতির অভিযোগ তুলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দলটি। গ্রামবাসী ও
পরিবারের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলছেন। গতকাল রাতেই BSF এর
সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিনিধি দল। BSF স্বীকার
করেছেন যে এই ঘটনায় সাবধানতা অভাব ছিল বলে জানিয়েছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের
প্রতিনিধি দল।