নিউজ ডেস্ক : শুরু হয়ে গেল এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই পরীক্ষা নিয়ে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে সংসদে। নির্বিঘ্নে পরীক্ষা মেটাতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে সাধারণ প্রশাসন থেকে পুলিশ। মাধ্যমিক পরীক্ষার মত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে তৎপর প্রসাশন। তাই আগেভাগেই পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাট করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে বাস রাস্তায় রয়েছে। যানজট কমাতে রাস্তা জুড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ থেকে দেওয়া হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর:০৩৩ ২৩৩৭ ০৭৯২। এই নম্বরে যে কেউ ফোন করে তাদের সমস্যা বলতে পারেন।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু সকাল পৌঁনে ১০টা থেকে। বেলা ১টা পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ ৯০ হাজার। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা ১.৩ লাখের মতো বেশি। মোট ২ হাজার ৩৪১টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা চলবে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে পারবে পরিক্ষার্থীরা। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এবার আরও কড়া হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতেও পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে সিসি ক্যামেরা আবশ্যিক করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদ নির্দেশ দিয়েছে, প্রত্যেকটি কেন্দ্রে দুটি সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার মুখে দরজায়। অপরটি পরীক্ষাকেন্দ্রের যেখানে প্রশ্নপত্র জমা থাকে সেই ঘরে। পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে থাকছে বিশেষ সিরিয়াল নম্বর। যা কিউআর কোড বা বারকোডের মতোই সুরক্ষা দেবে। তবে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রে শৌচালয়ের বাইরে, শ্রেণিকক্ষে এবং স্কুল বারান্দায় সিসি ক্যামেরা লাগালে নজরদারি জোরদার হতো। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। এছাড়াও বাড়তি নজরদারির জন্য প্রতিটি রুমে কমপক্ষে দুজন ইনভিজিলেটর থাকবেন। পরীক্ষার্থীর সংখ্যার নিরিখে ইনভিজিলেটরের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
প্রসঙ্গত, সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এবার রাজ্যজুড়ে ১৭৬টি কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই কেন্দ্রগুলিতে মেটাল ডিটেক্টর এবং রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর থাকছে। পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে এসেছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে যদি কারও থেকে ফোন পাওয়া যায়, তাহলে তাঁকে আর সেদিনের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। কেউ যদি ভুল করে মোবাইল নিয়ে চলে আসেন, তাহলে তাঁকে পরীক্ষা শুরুর আগে ভেনু সুপারভাইজারের কাছে তা জমা দিতে হবে।