নিউজ ডেস্ক:
হাতে গোনা আর কয়েকদিন। তারপরেই লোকসভা নির্বাচন। আর এই সময়ই হল পিক টাইম।
বিজেপির এবারের লক্ষ্য বাংলা থেকে এবার ৩৫ টি আসন জিতে নেওয়া। আর তারই প্রস্তুতির
প্রথম ধাপ হিসেবে রয়েছে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার আহ্বানে গ্রাম চলো অভিযান। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হল দেশের গ্রাম গুলোর উন্নয়ন সম্পর্কে
অবহিত হওয়া এবং প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ।
উল্লেখ্য বঙ্গে বিজেপির সাংঠনিক
শক্তি বিধানসভা ভোটের পর যে অবস্থায় ছিল তার তুলনায় বর্তমানে অনেকটাই ভালো। কর্মীরা ফের মাঠে ময়দানে নামছেন। আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ছে। তবে ভোটে
জিততে গেলে এটুকুই যথেষ্ট নয়। তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে বসে থাকা দলের পুরনো নেতাদের ফের মাঠে নামানো দরকার। দরকার
নতুন রণকৌশলের। ফলে দলের হাতে থাকা আসন সংখ্যা বাড়াতে গেলে আরও
নয়া ভাবনা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি হল বেশ কিছু জায়গায় থাবা বসাচ্ছে
তৃণমূল। বিশেষ করে যে উত্তরবঙ্গে বিজেপির শক্ত ঘাটি ছিল তা এখন
অনেকটাই নড়বড়ে। দক্ষিণবঙ্গে বিশেষ করে দুই চব্বিশ পরগনায় অতীতে ভাল ফল করতে পারে নি
বিজেপি। দুই একটা আসন ছাড়া বাকিতে বরাবর তৃণমূলের রমরমা। তবে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক
এবং সন্দেশখালির অভিযানের মাঝে দাগ কাটতে পারেনি গ্রাম চলো অভিযান।
তাই অগত্যা দলের নেতাকর্মীদের চার্জ আপ করতে ও বাংলায় বিজেপির অবস্থান জোরালো করতে
চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষেই আবার বাংলায় আসছেন অমিত শাহ সঙ্গে জে পি নাড্ডা।
প্রসঙ্গত, গ্রাম চলো
অভিযানকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে বিজেপি। শাসক
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে মাঠে নেমেছে পদ্ম শিবির। এ বিষয়ে সুকান্ত
মুজুমদার জানান ,সম্প্রতি ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলায় শুরু
হয়েছে গ্রাম চল অভিযান। এই অভিযানে ৫০হাজারেরও বেশি গ্রামে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়
ধরে বুথ কমিটির সভা, সাংগঠনিক কাজ, যুব
সম্পর্ক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ, মেধাবী
ছাত্র, খেলোয়াড়, ছাত্রনেতাদের সঙ্গে
দেখা, মহিলা পরিচিতি – স্বনির্ভর গোষ্ঠী, স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক, ব্যবসায়িক
সম্পর্ক, কৃষক, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক
সহ মোট ৮টি বিশেষ বিষয়কে কেন্দ্র করে অভিযান শুরু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৫ বছর আগে
উনিশের লোকসভা ভোটে বিজেপি বাংলার মাটি থেকে পেয়েছিল ১৮টি আসন। সেটাই তাঁরা এবার
দ্বিগুণ করতে চায়। তবে ভোটের একদম মুখে এসে বিজেপির এই অভিযান কতটা ফলপ্রসূ হবে
এখন সেটাই দেখার।