নিউজ ডেস্ক: সামনেই নির্বাচন। তার আগেই বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনের শিলান্যাস করতে আগামী ৩ মার্চ শিলিগুড়ি আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্র মারফত জানা গেছে ওইদিন সকাল ১০টা নাগাদ দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে তিনি বাগডোগরায় আসবেন। বৃহস্পতিবার বাগডোগরা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়ী সংগঠন এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক বৈঠকের পরে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত জানিয়েছেন,যাতে বছরে অন্তত এক কোটি যাত্রী যাতায়াত করতে পারেন, সে কথা মাথায় রেখে পরিকাঠামো তৈরি করা হবে।
বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একসময় জমি সমস্যা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এবার সে সমস্যার সমাধান হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার, সেনা বাহিনী এবং রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে বাগডোগরা বিমান বন্দরের সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে। রাজ্য সরকার প্রায় একশো একর জমি দিয়েছে বাগডোগরা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষকে। এবার ওই জমিতেই নিউ টার্মিনাল তৈরি হবে।
জানা গেছে দুটি পর্যায়ে বাগডোগরা বিমান বন্দরের সম্প্রসারণের কাজ হবে। দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে। কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুলাই মাসে। প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার বর্গমিটার জমিতে টার্মিনাল গড়ে উঠবে। তার পরে আরও দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ হবে। ১০টি এরোব্রিজের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৬টি গড়ে তোলা হবে। অর্থাৎ যাত্রীরা টার্মিনাল থেকে সরাসরি বিমানে পৌঁছে যেতে পারবেন। পরিকল্পনায় রয়েছে মাল্টি লেভেল কার পার্কিং ব্যবস্থা। নতুন টার্মিনাল তৈরি হলে ঘণ্টায় প্রায় চার হাজার যাত্রী তা ব্যবহার করতে পারবেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হল এ৩২০, বি৭৩৭-এর মতন ১৬টি বড় বড় এয়ারক্রাফট একসঙ্গে রানওয়েতে থাকতে পারবে। পাশাপাশি বায়ুসেনার বিমানের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকবে। তবে আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে বাগডোগরা দেশের প্রথম সারির বিমানবন্দর হয়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত, বাগডোগরা বিমান বন্দরের পরিকাঠামো সম্প্রসারণের কাজ মার্চের প্রথম সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে। কাজের সূচনা প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বৃহস্পতিবার এমনটাই জানান দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। তবে প্রধানমন্ত্রী বাগডোগরায় এসে শিলান্যাস করবেন না কি ভার্চুয়াল শিলান্যাস হবে সেটা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।