নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে
অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন। প্রত্যেক বছরই এই মহা সম্মেলন
আয়োজন করা হয় বিজেপির তরফে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে জানুয়ারি মাসে দিল্লির
রামলীলা ময়দানে এই জাতীয় সম্মেলন করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। এবারও তার ব্যতিক্রম
হচ্ছে না। এ বছর ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দুদিনের জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করছে তারা।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্য ৪০০-র
বেশি আসনে জেতা। বিজেপির তরফে সে কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। শেষবার বিজেপির জাতীয়
সম্মেলনের সময় দলের সাংসদ সংখ্যা ছিল ২৮২ জন। বর্তমানে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে
৩০৩-এ। এছাড়াও দেশের মোট ১২টি রাজ্যে রয়েছে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পাশপাশি ৬ রাজ্যে
বিজেপি সমর্থিত সরকার রয়েছে। ফলে মনে করা হচ্ছে এ ২০১৯ সালের অধিবেশনের তুলনায়
এবারের আয়োজন আরও বড় হতে চলেছে। যে কারণে বদলাচ্ছে এই জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন
স্থলও। রামলীলা ময়দানের বদলে এ বার তা হচ্ছে দিল্লির প্রগতি ময়দানে। এই প্রগতি
ময়দানেই জি-২০ সম্মেলনের জন্য ভারত মণ্ডপম তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানেই
হবে এবারে হবে বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন।
নিয়মমাফিক এই অনুষ্ঠানের শুরু হবে বিজেপির
সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ভাষণ দিয়ে। আর অধিবেশন শেষ হবে প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে। বিজেপি সূত্রের খবর, এই জাতীয়
সম্মেলনে যোগ দেবেন দেশের আট হাজার বিজেপি নেতা। বাংলা থেকে কোন কোন বিজেপি নেতা
এই সম্মেলনে আসবেন তার নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী ১৭ ও ১৮
ফেব্রুয়ারী বিজেপির মহা সম্মেলনে যোগ দেবেন জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যরা। যার মধ্যে
বাংলা থেকে রয়েছেন সাত জন। থাকবেন জাতীয় পরিষদের সদস্যরাও। যার মধ্যে বাংলা থেকে
থাকবেন মোট ৪২জন বিজেপি নেতা। এছাড়াও বাংলা থেকে এই অধিবেশনে ডাক পেয়েছেন ১৬জন
লোকসভা সাংসদ এবং রাজ্যসভার একমাত্র সাংসদ অনন্ত রায়।
বাংলা থেকে যাওয়ার কথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত
মজুমদারের। কিন্তু সন্দেশখালি কান্ডে আহত হওয়ায় তিনি যেতে পারবেন কি না তা নিয়ে
ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও এই অধিবেশনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দিলীপ ঘোষ, তথাগত রায়, রাহুল সিনহার মতো প্রাক্তন রাজ্য
সভাপতিদেরও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে কর্মসমিতির সদস্য শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু সহ বাংলা থেকে ডাকা হয়েছে মোট ৬৮ জন বিধায়ককেও। এছাড়াও বাংলা থেকে ডাক
পেয়েছেন রাজ্যের কোর কমিটির সদস্যরা। এই কমিটিতে রয়েছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও।
এছাড়াও বাংলা থেকে ডাক পেয়েছেন শৃঙ্খলারক্ষা, অর্থ এবং
নির্বাচন কমিটির সদস্যদেরও। রয়েছেন প্রতিটি লোকসভার ইনচার্জ, কনভেনার ও বিস্তারকরাও। বাংলায় সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ১২৬জন।
এছাড়াও রাজ্য লোকসভার আসন অনুযায়ী বিজেপির যে
১১টি ক্লাস্টার রয়েছে এই সম্মেলনে ডাক পেয়েছে সেই সমস্ত ক্লাস্টার প্রধানরাও।
এছাড়াও যাবেন রাজ্যের প্রতিটি জোন ও বিভাগের প্রধানদেরও। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র
হিসেবে যাবেন ভারতীয় ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে
আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও স্বপন দাশগুপ্তকে। ডাক পেয়েছেন রাজ্যের
প্রতিটি শাখার প্রধান এবং রাজ্যে দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। বাংলায় বিজেপির
মোট সাংগঠনিক জেলার সংখ্যা ৪৩টি। ডাক পেয়েছেন সেই সমস্ত জেলার সভাপতিরাও। সব
মিলিয়ে এই মহাসম্মেলনে বাংলা থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন অন্তত ২০০ জন। রাজ্য বিজেপি
সূত্রে খবর ডাক পাওয়া অনেকেই ইতিমধ্যেই রওনা হয়ে গিয়েছেন দিল্লির উদ্দেশ্যে।