নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা: মগরাহাট
কুলদিয়া স্কুলের শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতার ও ভুলের জন্য ৫০ জন ছাত্রছাত্রী এক
ঘন্টা পরীক্ষা দিতে পারল না। এমনই অভিযোগ অভিভাবক অভিভাবিকা থেকে ছাত্রছাত্রীদের।
স্কুলের শিক্ষকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ ছাত্রছাত্রীদের ও অভিভাবক অভিভাবকদের।
কুলদিয়া স্কুলে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসেন মগরাহাট থানার পুলিশ। অভিযোগ আজ ছিল
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন। এডমিডে ছিল না পরীক্ষার সেন্টারের নাম। মগরাহাট
কুলদিয়া স্কুলের শিক্ষকেরা জানিয়েছিলেন তাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সেন্টার
পড়েছে ঝিংকি কাটাখালি হাই স্কুলে। রীতিমতো মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে স্কুলের সামনে
ন‘টায় হাজির হয় ছাত্রছাত্রীরা। এবার স্কুলের মধ্যে প্রবেশ
করে দেওয়ালে মারা ছাত্রছাত্রীদের রোল নাম্বার অনুযায়ী রুম নাম্বার খুঁজতে গিয়ে
পরে বিরাম্বনায়। তাদের রোল নাম্বার না থাকায় ঝিংকি কাটাখালি হাই স্কুলের শিক্ষক
শিক্ষিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকীকারা। তারা পরিষ্কার
জানিয়ে দেন কুলদীয়া হাইস্কুলের সেন্টার এই স্কুলে নেই। তখন ভেঙে পড়েই স্কুলের 50 জন
ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবক অভিভাবিকারা। পরে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের শিক্ষক
শিক্ষিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কেউ তাদের ফোন তোলেনি। কিংবা কল ব্যাক
করেননি। বহু পরে ঝিংকি কাটাখালি স্কুলের
শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জানা যায় ওই স্কুল থেকে প্রায় নয় থেকে দশ
কিলোমিটার দূর মহেশপুর হাই স্কুলে তাদের সেন্টার পড়তে পারে। তখন ওই
৫০ জন ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবক অভিভাবিকারা দিকভ্রান্তর মতোন এদিক-ওদিক ছোটা
ছুটি শুরু করে দেন। আশেপাশে টোটো অটো গাড়ি ভাড়া করতে শুরু করেন। এরপর অতি কষ্টে
যখন তারা মহেশপুর স্কুলের সেন্টারে পৌঁছালো, তখন বাজে
এগারোটা। অর্থাৎ ১ ঘন্টা পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর। সেন্টার
কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক অনুনয়-বিনয় করে তাদেরকে হলে ঢোকানোর ব্যবস্থা করলেও
পরীক্ষা দিতে পারল না এক ঘন্টা। এর পরে বাকি দু ঘন্টা পরীক্ষা দিয়ে ফিরে এসে
কুলদিয়া হাই স্কুল অর্থাৎ নিজেদের স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ
দেখাতে থাকে ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবক অভিভাবী কারা। উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর পেয়ে
সামাল দিতে আসেন মগরাহাট থানার পুলিশ। এখনো সেখানে উত্তপ্ত পরিবেশ।
ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি পুনরায় তাদেরকে ৩ ঘন্টা পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করুক
প্রশাসন।