নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ইডির তলব মুকুল রায়কে। অ্যালকেমিস্ট মামলায় শুক্রবার ইডির দপ্তর দিল্লিতে ডাক পড়েছিল মুকুল রায়ের৷ এই মামলায় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। যদিও এই মুহুর্তে মুকুল রায়ের পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায়৷
শুভ্রাংশু জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। দুদিন আগে তদন্তকারী সংস্থা নোটিশ পাঠিয়ে বাবাকে তলব করেছে। কিন্তু চিঠি দিয়ে তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওনি অসুস্থ। শুভ্রাংশু জানিয়েছেন, বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি কিছুই মনে রাখতে পারেন না। ভালো করে হাঁটতে পারেন না। তাঁর পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। মুকুল পুত্রের কথায়, ইডি আধিকারিকরা বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে সবরকম সহযোগিতা করা হবে৷ এছাড়াও যদি ফোনে বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেরা করতে চায় তবে সহযোগিতা করা হবে।
প্রসঙ্গত, অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে বাজার থেকে বেআইনিভাবে কোটি-কোটি টাকা তোলার অভিযোগ ছিল। আর সেই টাকা গিয়েছিল একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে। মামলার তদন্তে নেমে ২০২১ সালে অ্যালকেমিস্টকর্তা কেডি সিং-কে গ্রেপ্তার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ডের ২৩৯ কোটি টাকার সম্পত্তি। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ ধৃত কেডি সিংকে জেরা করে ইডির হাতে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে। এবার সেই মামলায় তথ্যসূত্রের ভিত্তিতে তলব মুকুল রায়কে।
উল্লেখ্য একসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী ছিলেন মুকুল রায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছিলেন ইউপিএ আমলে। পরবর্তীতে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুমুল বিরোধিতা শুরু করেন। কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন গত বিধানসভায়। তবে এরপরেই আচমকা ভোলবদল ঘটে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে ফেরেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকে তাঁকে আর সক্রিয় রাজনীতিতে সেভাবে দেখা যায়নি।