নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দির ও আবুধাবির হিন্দু মন্দিরের পর এবার উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল জেলায় কল্কি ধাম স্থাপন। সোমবার একদিনের উত্তরপ্রদেশ সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্ভল জেলায় কল্কি ধাম মন্দিরের শিলান্যাস করলেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতেই শুরু হল মন্দির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পুজো। সঙ্গে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং কল্কি ধাম নির্মাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম।
হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী কল্কিকে ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার মানা হয়। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী যখন যখন ধর্মের গ্লানি এবং অধর্মে ভরে যায় পৃথিবী, তখনই ভগবান বিষ্ণু অবতার রূপে আবির্ভূত হন এবং অত্যাচারিত মানুষকে রক্ষা করেন। পুরাণ অনুযায়ী এটাও মানা হয় যে বর্তমানে কলি যুগ চলছে এবং এই কলি যুগে যখন পৃথিবী পাপে ভরে যাবে তখন ভগবান নারায়ণ মানুষকে উদ্ধার করতে কল্কি অবতার রূপে আবির্ভূত হবেন। শ্রীমৎ ভাগবত এর দ্বাদশ স্কন্দে চব্বিশ তম শ্লোক অনুযায়ী যখন বৃহস্পতি সূর্য এবং চন্দ্র পুষা নক্ষত্রে আসবে, তখনই আবির্ভাব হবে কল্কি অবতারের। কল্কি অবতার জন্মগ্রহণ করবেন শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চম দিনে। ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার হিসেবে উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলাতে জন্মগ্রহণ করবেন কল্কি দেবতা। তাই সেখানেই নির্মিত হচ্ছে কল্কি ধাম।
এদিন কলকি ধাম মন্দিরের শিলান্যাসের মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “কেবল বিদেশ থেকে প্রাচীন মূর্তি ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না, রেকর্ড মাত্রায় বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে।” এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ একহাতে আমাদের তীর্থক্ষেত্রগুলির উন্নয়ন ঘটনা হচ্ছে, অন্য হাতে বিভিন্ন শহরে হাই-টেক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। আজ মন্দির নির্মাণ হচ্ছে তো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন মেডিক্যাল কলেজ নির্মিত হবে।”
প্রসঙ্গত, মন্দিরটি আনুমানিক ৫ একর জমিতে নির্মিত হবে এবং এটি নির্মাণে প্রায় ৫ বছর সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মন্দিরের চূড়া হবে ১০৮ ফুট উঁচু ও মন্দিরের মঞ্চ তৈরি হবে ১১ ফুট উপরে। এখানে গড়ে উঠবে ৬৮টি তীর্থস্থান। এই মন্দিরটি একই গোলাপী রঙের পাথর দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে যেখান থেকে সোমনাথ মন্দির এবং অযোধ্যার রাম মন্দির তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও, এই মন্দিরে ইস্পাত বা লোহা ব্যবহার করা হবে না। এই মন্দিরটি নির্মাণের দিক থেকে বিশাল হবে এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও হবে ঐশ্বরিক, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।