সোমবার সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আবেদন খারিজ
করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত শুক্রবার
আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চেয়ে একটি
জনস্বার্থ মামলা করেন। আইনজীবীর তরফে আবেদন করা হয়, সন্দেশখালিতে
সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্ত ও মণিপুরের মতো সন্দেশখালিতেও হাই
কোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের কমিটি গঠন করে তদন্ত করতে হবে। এদিন
মামলাকারীকে আবেদনটি প্রত্যাহার করার
অনুরোধ জানিয়ে
মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারপতি বিভি
নাগারথনা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহের বেঞ্চ মণিপুরের পরিস্থিতির সাথে
সন্দেশকালী মামলার তুলনা করার বিষয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছে। আদলতের পর্যবেক্ষণ সন্দেশখালি নিয়ে হাইকোর্টে
যে স্বতঃপ্রনদিত মামলা হয়েছে সেটি
এই মামলার তদন্তের জন্য উপযুক্ত। ইতিমধ্যে হাইকোর্ট বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে
সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে
আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব আবেদনটি
প্রত্যাহার করে নেন।
প্রসঙ্গত, বেশকদিন ধরেই
উত্তপ্ত সন্দেশখালি। রেশন দুর্নীতির পাশাপাশি মহিলাদের যৌন হেনস্থা, ১০০ দিনের কাজের টাকা তছরুপের মত একাধিক অভিযোগ রয়েছে শেখ শাহজাহান,
উত্তম সর্দার, শিবু সরেনদের বিরুদ্ধে। উত্তম
সর্দার, শিবু সরেন গ্রেফতার হলেও এখনও মূল অভিযুক্ত শেখ
শাহজাহান অধরা। যদিও গ্রামবাসীদের অভিযোগ তিনি গ্রামেই আছেন। প্রশাসনের তরফে গোটা সন্দেশখালি জুড়ে ১৪৪ ধারা
জারি করলেও কলকাতা হাইকোর্ট তা বাতিল করে। কিন্তু ফের নতুন করে ১৯টি জায়গায় ১৪৪
ধারা জারি করে রাজ্য। যদিও গত রবিবার ৪ জায়গা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ১৪৪ ধারা।
রাজ্যপাল, রাজ্য শিশু রক্ষা কমিশন, জাতীয়
মহিলা কমিশন সবাই পরিস্থিতি দেখে গেছেন। সন্দেশখালির আঁচ রাষ্ট্রপতি ভবন অবধি
পৌঁছেছে। এহেন পরিস্থিতির জন্য রাজনৈতিক দলগুলি রাজ্যসরকারকে
দায়ী করলেও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সবই বিরোধীদের চক্রান্ত। আপাতত সন্দেশখালিতে শান্তি ফেরার অপেক্ষায়
রাজ্যবাসী ।