নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে সন্দেশখালি।
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি এখন তোলপাড়। এরই মধ্যে সন্দেশখালি থেকে
রিপাবলিকের এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রিপাবলিক বাংলার ওই সাংবাদিকের নাম সন্তু পান। এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই
সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য পুলিশের এই পদক্ষেপের অভিযোগে সোমবারই
আদালতের দ্বারস্থ হয় সন্দেশখালিতে গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিক সন্তু পান। এ বিষয়ে
বিচারপতি কৌশিক চন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি। তার অভিযোগ
সন্তু পান নামে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে
মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমস্ত তথ্য শুনে বিচারপতি জামিনের
আবেদন ও তাঁদের বক্তব্য পেশ করতে বলেন। তবে এরই সঙ্গে বিচারপতি
জানান মামলা দায়ের হলেও এই মুহূর্তে কোন অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়।
নিম্ন আদালত এবং জামিনের জন্য নির্দিষ্ট এজলাস এর দ্বারস্থ হওয়ার সংস্থান রয়েছে,
এমনই জানিয়েছেন বিচারপতি।সাংবাদিককে গ্রেফতার করার বিষয়ে বসিরহাটের
এসপি জানান, এক মহিলা তাঁদের কাছে অভিযোগ করেন, তিনি যখন বাড়িতে কিছুটা অপ্রস্তুত অবস্থায় ছিলেন তখন ওই সাংবাদিক প্রায়
জোর করে বাড়িতে ঢুকতে চান। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তাঁকে সন্দেশখালির ফেরিঘাট
থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু কোনও তদন্তের আগেই, কোনও
নোটিস না পাঠিয়েই, এক কর্তব্যরত সাংবাদিককে তড়িঘড়ি এভাবে
গ্রেফতার করা হল কেন? এ প্রশ্নের জবাব চাইছে সকলেই।
এ প্রসঙ্গে ওই সাংবাদিকের মুক্তির দাবি চেয়ে
সরব হয়েছেন রাজনৈতিক মহল থেকে সংবাদ মাধ্যমের অনেকেই। সন্তু পানকে গ্রেফতারের
ঘটনায় গর্জে উঠলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাতেই নিজের সোশ্যাল
মিডিয়ায় ছবি সরিয়ে সেখানে কালো করে দেন তিনি। সেই পোস্টে তিনি লেখেন – ‘সন্দেশখালির নিগৃহীতা মাতৃশক্তির খবর জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য রিপাবলিক
বাংলার সাংবাদিক সন্তু পান কে মমতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই বেআইনি গ্রেফতারের
মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের কন্ঠরোধ করার নক্কারজনক প্রচেষ্টার প্রতিবাদে আমি আমার
সমস্ত অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল ছবি ২৪ ঘন্টার জন্য কালো করলাম‘ । অন্যদিকে সাংবাদিকের গ্রেপ্তারির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে রাষ্ট্রপতি
শাসন জারির প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী।