নিউজ ডেস্ক: প্রথমে বাধা পরে প্রবেশ।
চেষ্টা করেও বিরোধী দলনেতাকে আটকাতে ব্যর্থ পুলিশ।পুষ্পবৃষ্টিতে
শুভেন্দু-শঙ্করকে স্বাগত জানানো হয় সন্দেশখালিতে। সন্দেশখালির
মহিলারা তাঁদের ব্যথা বেদনা জানান বিরোধী দলনেতাকে। তবে আগের রাতেই মরিয়া পুলিশ গ্রেফতার
করে এক সাংবাদিককে। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ বাধাদেয় শুভেন্দুকে।
ধামাখালির কাছে আটকে দেওয়া হয় তাঁকে। পরে তাঁর আইনজীবী ফের আদালতের নির্দেশ নিয়ে হাজির
হলে বিরোধী দলনেতাকে সন্দেশখালিতে যেতে দেওয়া হয়। ধামাখালি থেকে
নৌকা করে সন্দেশখালি পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ধামাখালিতে
সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাটকে প্রথমে বাঁধা দেওয়া হলেও পরে কনীনিকা ঘোষ সহ বৃন্দা
কারাটকে সন্দেশখালি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে মঙ্গলবার সকালে ধামাখালিতে শুভেন্দু
অধিকারী-সহ ছজনকে আটকায় পুলিশ। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে বচসায়
জড়ান বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে আটকে হাইকোর্টের
নির্দেশের অবমাননা করেছে। উল্লেখ্য শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি
যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান
বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত
জানায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং শঙ্কর ঘোষ সন্দেশখালি যেতে
পারবেন। তাঁদের সঙ্গে কোনও সমর্থক বা দলীয় কর্মী যেতে পারবেন না। তা নিশ্চিত করতে
হবে। এলাকায় যেন শান্তি ভঙ্গ না হয়, সেটা দেখবে রাজ্য
পুলিশ।
কিন্তু এরপরেও সন্দেশখালির পথে বাধা
পান বিরোধী দলনেতা। এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে দলে ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, আসানসোল দক্ষিণের
বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, কাঁথি উত্তরের বিধায়ক সুমিতা সিংহ,
হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল ও কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা। এই নিয়ে
তৃতীয় বার শুভেন্দুকে সন্দেশখালি যাওয়া থেকে আটকায় প্রশাসন।
এর আগের দুবার বাসন্তী হাইওয়ে এবং রামপুরে বিরোধী দলনেতাকে আটকেছিল পুলিশ।
অন্যদিকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ধামাখালিতে সিপিএম
নেত্রী বৃন্দা কারাটকে আটকায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে
সিপিএম কর্মীদের বচসা শুরু হয়ে যায়। বৃন্দা জানান, মাত্রা
চার জনকে নিয়ে তিনি সন্দেশখালি যেতে চান। কিন্তু পুলিশের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়নি। গণতন্ত্রের চতুর্থস্তম্ভ বাকরুদ্ধ করতে চাইছে
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? ইতিমধ্যেই এই ঘটনার
পরিপ্রেক্ষিতে এমন প্রশ্ন তুলছে অনেকেই। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের এই অবস্থা হলে
সাধারন মানুষের কী হবে? সত্যানুসন্ধানে সন্দেশখালিতে গিয়ে
রাতদিন কাজ করে চলেছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। সন্দেশখালির ভেতরের আসল সত্য
তারা সবার সামনে নিয়ে আসছে। কিন্তু কর্তব্যরত এক সাংবাদিককে এভাবে গ্রেফতারে তীব্র
নিন্দা এবং ধিক্কার জানাচ্ছে সকলেই।