নিউজ ডেস্ক :নিম্ন আদালতে বড় ধাক্কা রাজ্য
পুলিশের। বসিরহাট আদালতে সাংবাদিক গ্রেফতারের মামলায় পুলিশ সন্তু পান নামে ওই সাংবাদিকের ১০ দিনের
পুলিশ হেফাজত চেয়েছিল। তবে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালত তরফে মিলল ৩ দিনের
পুলিশ হেফাজত। অন্যদিকে দিল্লিতে প্রেস ক্লাবের সামনে সাংবাদিককে গ্রেফতারের ঘটনায়
প্রতিবাদ চলছে। শুধু দিল্লি নয় সন্দেশখালির সত্য খবর সামনে আনতে গিয়ে কর্তব্যরত
সাংবাদিককে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে বিরোধী দল।
প্রসঙ্গত,এক মহিলার
অভিযোগের ভিত্তিতে রিপাবলিকের এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রিপাবলিক
বাংলার ওই সাংবাদিকের নাম সন্তু পান। সত্যানুসন্ধানে সন্দেশখালিতে গিয়ে রাতদিন কাজ
করে চলেছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। সন্দেশখালির ভেতরের আসল সত্য তারা সবার
সামনে নিয়ে আসছে। কিন্তু কর্তব্যরত এক সাংবাদিককে এভাবে গ্রেফতারে তীব্র নিন্দা
এবং ধিক্কার জানাচ্ছে সকলেই।
উল্লেখ্য পুলিশের এই পদক্ষেপের অভিযোগে সোমবারই
আদালতের দ্বারস্থ হয় সন্দেশখালিতে গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিক সন্তু পান। এ বিষয়ে
বিচারপতি কৌশিক চন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবী মহেশ জেঠমালানির। তার অভিযোগ
সন্তু পান নামে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে
মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমস্ত তথ্য শুনে বিচারপতি
মামলা দায়ের করতে বলেন। তবে এরই সঙ্গে বিচারপতি জানান মামলা দায়ের হলেও এই
মুহূর্তে কোন অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়। নিম্ন আদালত এবং জামিনের জন্য
নির্দিষ্ট এজলাস এর দ্বারস্থ হওয়ার সংস্থান রয়েছে, এমনই
জানিয়েছেন বিচারপতি। অবশেষে বিচারপতির কথাই মিলে গেল। জামিন হলনা সন্তুর। আপাতত ৩
দিনের পুলিশি হেফাজতে থাকবে ওই সাংবাদিক।