নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ২ সপ্তাহের মাথায় উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে পৌঁছলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। লঞ্চ থেকে নেমে টোটোয় চড়ে সন্দেশখালি থানায় পৌঁছন তিনি। পাশাপাশি সন্দেশখালি কাণ্ডে গণধর্ষণের দ্বিতীয় এফআইআর রুজু করল পুলিশ।
রাজীব কুমারের সঙ্গে রয়েছেন এডিজি সুপ্রতিম সরকার এবং বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান। বুধবার সন্দেশখালি পৌঁছে এলাকার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রওনা দেন তিনি। ফেরিঘাট নামামাত্রই সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান, বাস্তব চিত্র খতিয়ে দেখে ফেরার পথে তিনি পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করবেন।
অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মহিলা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দ্বিতীয় এফআইআর দায়ের করা হয়। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতির কাছে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন ওই মহিলা।মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে। বাকি দু’জনের মধ্যে রয়েছে শিবুর ম্যানেজার ভানু মণ্ডল এবং স্থানীয় ব্যক্তি আমির আলি গাজি। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে সন্দেশখালিতে রিপোর্টিং করার সময় রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক সন্তু পানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্তু পানকে আদালতে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এরপর বুধবার এ মামলায় বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় সাংবাদিক সন্তু পান। ফলত সময়ের সাথে সাথে সন্দেশখালির জল কোন দিকে গড়ায় এখন সেটাই দেখার।