নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির আঁচ এখনও অব্যাহত। এরই মধ্যে সন্দেশখালিতে ধৃত তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে আরও একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এক নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবারই সন্দেশখালি পৌঁছয় রাজ্যের ডি জি রাজীব কুমার। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সন্দেশখালি এলাকায় টহল দিতে দেখা যায় তাঁকে। পূর্ত দফতরের বাংলো থেকে বেরিয়ে ধামাখালির লঞ্চ ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। তার পর আবার লঞ্চ নিয়েই যান ছোট শেয়ারা এলাকার দিকে।
পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, কেউ আইন ভেঙে থাকলে, তিনি গ্রেফতার হবেন।
এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি সন্দেশখালি থানাতেই দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। ডিজির সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার-সহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা। বিকেলের পর রাতেও এলাকা টহলে যান রাজীব কুমার।
এদিকে, গত ১২ তারিখ এক মহিলার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতেই সন্দেশখালির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল শিবপ্রসাদ হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে নতুন করে এই মামলায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে শাহজাহানের আরও তিন অনুগামীর বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, এখনও গ্রেফতার হননি ‘নিখোঁজ’ তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ। তবে বৃহস্পতিবার শাহজাহানের গ্রেফতারির বিষয়ে কিছু না জানালেও রাজীব বলেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাঁরা সবাই গ্রেফতার হবেন। যাঁরা আইন ভেঙেছেন,তাঁরা গ্রেফতার হবেন।”পাশাপাশি ডি জি জানান, সন্দেশখালির পাঁচটি জায়গায় মোট দশটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। নতুন করে যাতে কোনও রকম অশান্তি না ছড়ায়, সেই নজরদারির জন্যই এই বন্দোবস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে বুধবার রাতেই কলকাতায় এসেছিলেন জাতীয় এসটি কমিশনের প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যে কলকাতা থেকে সন্দেশখালির উদেশ্যে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। মোট তিন সদস্যের প্রতিনিধি যাচ্ছেন সন্দেশখালি। তার মধ্যে রয়েছেন, জাতীয় এসটি কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন অনন্ত নায়েকও। সন্দেশখালি পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্য সচিব এবং ডিজিপিকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। এই বিষয় নিয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তা জানাতে হবে তিন দিনের মধ্যেই। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে এসটি কমিশনকে ৷ তার মধ্যে না জানালে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।